ছবি: সংগৃহীত
সৌদি আরবের কারাগার থেকে প্রায় ৭,২০০ দরিদ্র ও অসহায় পাকিস্তানি নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার জন্য সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
তার ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং আবেদনেই এই বিপুল সংখ্যক পাকিস্তানি কারাবন্দীর মুক্তি সম্ভব হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ইমরান খান এক ফেসবুক পোস্টে লিখেন, “সৌদি যুবরাজ সম্মানিত মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি আমি গভীর কৃতজ্ঞ। আমার আবেদন সাড়া দিয়ে প্রায় ৭,২০০ দরিদ্র ও অসহায় পাকিস্তানি নাগরিককে সৌদি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ায় তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এটি নিঃসন্দেহে একটি মানবিক পদক্ষেপ, যা অসংখ্য পরিবারের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।”
তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নত করার জন্য আমি সবসময় আমার অবস্থান এবং প্রভাবকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। এটাই আমার রাজনীতিতে আসার মূল উদ্দেশ্য এবং আমি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই লক্ষ্যে কাজ করে যাব।”
ইমরান খান তার এই প্রচেষ্টাকে শুধু রাজনীতির অংশ নয়, বরং একটি মানবিক দায়িত্ব হিসেবেও উল্লেখ করেন। তিনি মনে করেন, বিদেশে বন্দি পাকিস্তানি শ্রমিকদের মুক্তি এনে তাদের পরিবারগুলোর দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করা সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
সৌদি আরবের কারাগারগুলোতে বিভিন্ন অপরাধে শাস্তি ভোগ করছিলেন এসব পাকিস্তানি। তবে তাদের বেশিরভাগই আর্থিক সংকটে পড়ে জরিমানা পরিশোধ করতে না পারার কারণে বন্দি অবস্থায় ছিলেন। ইমরান খানের এই উদ্যোগে তাদের মুক্তি পাওয়ায় পাকিস্তানে তাদের পরিবারগুলো স্বস্তি প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায়ও বিদেশে বন্দি পাকিস্তানিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার মতে, প্রবাসী শ্রমিকেরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব।
ইমরান খানের এই মানবিক উদ্যোগ এবং সৌদি যুবরাজের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা দেখা যাচ্ছে। অনেকেই এই ঘটনাকে পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের একটি উদাহরণ হিসেবে দেখছেন।
এম.কে.