ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স হ্যারি
ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স হ্যারি ও রুপার্ট মারডকের সংবাদপত্র গ্রুপ নিউজ পেপার্স (এনজিএন)-এর মধ্যে দীর্ঘদিনের আইনি লড়াই বুধবার শেষ হয়েছে। হ্যারি সমঝোতার মাধ্যমে একটি “পূর্ণ ক্ষমাপ্রার্থনা” পেয়েছেন, যদিও আদালতে ট্যাবলয়েডগুলিকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করার তাঁর চেষ্টা সম্পূর্ণ সফল হয়নি।
সমঝোতার কারণ ও প্রেক্ষাপট
প্রিন্স হ্যারি এবং প্রাক্তন ব্রিটিশ আইনপ্রণেতা টম ওয়াটসন এনজিএন-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, ১৯৯৬ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে "দ্য সান" ও "নিউজ অফ দ্য ওয়ার্ল্ড"-এর সাংবাদিক ও বেসরকারি গোয়েন্দারা অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন। এর মধ্যে ফোন হ্যাকিং, নজরদারি এবং ব্যক্তিগত তথ্য অপব্যবহার অন্তর্ভুক্ত ছিল। এনজিএন হ্যারির অভিযোগ অস্বীকার করলেও শেষ পর্যন্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করে।
ডায়ানা, প্রিন্সেস অফ ওয়েলসের প্রতি ক্ষমাপ্রার্থনা
হ্যারির প্রয়াত মা ডায়ানা, প্রিন্সেস অফ ওয়েলসের ব্যক্তিগত জীবনেও এনজিএন হস্তক্ষেপ করেছিল বলে স্বীকার করা হয়। এ নিয়ে তারা দুঃখ প্রকাশ করে এবং ফোন হ্যাকিং ও নজরদারির জন্য ক্ষমা চায়।
আইনি লড়াইয়ের বিবৃতি
হ্যারি এবং ওয়াটসনের আইনজীবী ডেভিড শারবর্ন জানান, “এনজিএন তাদের অবৈধ কাজের জন্য দায়বদ্ধ এবং দীর্ঘদিনের ষড়যন্ত্র উন্মোচিত হয়েছে। প্রিন্স হ্যারির পরিবারও এই সময়ে ট্যাবলয়েডের প্রতিহিংসাপ্রবণ সাংবাদিকতার শিকার হয়েছে।”
সময়ের প্রেক্ষাপটে মামলার ভূমিকা
২০১৯ সালে দায়ের করা এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালে। সমঝোতার জন্য সময় চাওয়ায় আদালতের বিচারক টিমোথি ফানকোর্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
নিয়ম পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি
এনজিএন জানায়, বর্তমানে তাদের পত্রিকাগুলিতে কঠোর নিয়ম কার্যকর রয়েছে, যা ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করবে।
প্রিন্স হ্যারির অবস্থান
রাজপরিবারের প্রচলিত নীতি থেকে বেরিয়ে এসে প্রিন্স হ্যারি এই আইনি যুদ্ধে অংশ নেন। সমঝোতার মাধ্যমে তিনি পুরোপুরি সফল না হলেও এটি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডের অন্যায় কার্যকলাপের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।
এই ঘটনা প্রমাণ করে, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়।
ইসরাত