জাপানের সমুদ্রে খোঁজ মিলল গুপ্তধনের। জাপানের বিজ্ঞানীরা এমন কিছু মূল্যবান খনিজের ভান্ডার আবিষ্কার করেছেন যা জাপানের অর্থনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, জাপান ‘সোনার খনি’র নীচে বসে রয়েছে। নামে সোনার খনি হলেও তাতে যা পাওয়া যাবে তা সোনার চেয়েও বেশি মূল্যবান ধাতু।
জাপানের খনিজ গবেষকেরা এমন একটি অমূল্য সম্পদের খোঁজ পেয়েছেন, যা আগামী কয়েক দশক ধরে সে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করে তুলবে। প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে পাওয়া গিয়েছে পৃথিবীর বিরল খনিজের মধ্যে অন্যতম নিকেল ও কোবাল্টের ভান্ডার। রয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি এবং স্মার্টফোনের ব্যাটারির কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহৃত ম্যাঙ্গানিজ়ও।
২২ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের সেই স্বর্ণ হাতে এলে চীনের আধিপত্যকে টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা চলে আসবে জাপানের হাতে।যাকে অনেক বিশ্লেষক বলছেন, জাপানি বোমার বিস্ফোরণে অনেকটাই স্তিমিত হয়ে আসবে চীনের অর্থনীতি।
তার ফলে বিশ্বব্যাপী খনিজ সরবরাহের মেরু পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।বর্তমানে বিশ্বে বিরল খনিজ সরবরাহে চীন একচেটিয়া বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। গোটা বিশ্বের ৯৫ শতাংশ বিরল খনিজের চাহিদা মেটায় চীনই। জাপানের এই আবিষ্কার সম্পূর্ণ হলে চীনকে পিছনে ফেলে সামনের সারিতে উঠে আসতে পারে জাপানের নাম, এমন সম্ভাবনার কথাও শুনিয়েছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।সে দেশের ‘দ্য নিপ্পন ফাউন্ডেশন’ ও টোকিয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, মিনামি-টোরি-শিমা দ্বীপের সমুদ্রতটে ঘন ম্যাঙ্গানিজ়ের চওড়া একটি ক্ষেত্র পাওয়া গিয়েছে।
সুত্র: আনন্দ বাজার
ফুয়াদ