ছবি: সংগৃহীত
৫৪ বছর বয়সী এক আমেরিকানের জীবনসংগ্রাম। তিনি বর্তমানে মাসে ২,৫০০ ডলার হারে বন্ধকী ঋণ পরিশোধ করছেন, যার মেয়াদ বাকি রয়েছে ১৫ বছর। ডিভোর্সের পর সন্তান না থাকায় তার ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিজের উপর।
এই আমেরিকান ব্যক্তির বার্ষিক আয় ১,৫০,০০০ ডলার হলেও কর কাটার পর তার হাতে থাকে প্রায় ১,১০,০০০ ডলার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি খুব বেশি সঞ্চয় করতে পারেননি। যার কারণ জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং বন্ধক পরিশোধের চাপ।
তিনি জানান, বহু চড়াই-উতরাই পার করে তিনি এখনো কর্মজীবনে আছেন এবং পরিকল্পনা করছেন আরও অন্তত ১০ বছর কাজ করার। তবে অবসর গ্রহণের পর তার আর্থিক নিরাপত্তা কেমন হবে, তা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।
বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের র্নির্বাচনের পর থেকে তিনি আরও কঠোরভাবে তার ব্যক্তিগত বাজেট নিয়ন্ত্রণ করছেন।
তিনি বলেন, "স্টক মার্কেট ট্রাম্পের জয়ের পর ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। যা আমার পেনশনের জন্য আশা জাগাচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে কী হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।"
তিনি ট্রাম্পের বিভিন্ন অর্থনৈতিক নীতি, বিশেষ করে কর হ্রাস, আমদানি শুল্ক এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে খোঁজ রাখছেন। গ্রীনল্যান্ড কেনার মতো আন্তর্জাতিক নীতি নিয়ে তিনি চিন্তিত নন, বরং তার আর্থিক ভবিষ্যৎই মূল উদ্বেগ।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমাবে কি না, সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সুদের হার বৃদ্ধির কারণে বন্ধকী ঋণের খরচ বেড়েছে, যা মধ্যবিত্ত আমেরিকানদের আর্থিক পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করছে। তিনি ভাবছেন, অবসরের পর যুক্তরাষ্ট্রে থাকা উচিত নাকি কম খরচের কোনো দেশে চলে যাওয়া উচিত।
এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু জীবনযাত্রার খরচই নয়, বরং স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক পরিবেশ ও আবহাওয়াকেও বিবেচনায় রাখা জরুরি। অবসরের পরিকল্পনায় বিনিয়োগের একটি বড় অংশ নিরাপদ সঞ্চয়ে রাখা উচিত। একজন মধ্যবয়সী কর্মজীবীর ক্ষেত্রে তার বিনিয়োগের ৫৪% বন্ড বা নিরাপদ বিনিয়োগে থাকা উচিত এবং বাকিটা শেয়ারবাজারে রাখা যেতে পারে। তবে এটি ব্যক্তিগত ঝুঁকির ওপর নির্ভর করে।
শিলা ইসলাম