ইলন মাস্কের টেসলা
টেসলার ব্র্যান্ড মূল্য ২০২৪ সালে ২৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা গত বছরের পতনের পুনরাবৃত্তি। এর কারণ হিসেবে পুরনো গাড়ির মডেল এবং সিইও ইলন মাস্কের বিতর্কিত আচরণ জন্য দায়ী- এমন তথ্য প্রকাশ করেছে গবেষণা এবং পরামর্শ সংস্থা ব্র্যান্ড ফাইন্যান্স।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্র্যান্ড ফাইন্যান্স জানিয়েছে, টেসলার ব্র্যান্ড মূল্য এখন ৪৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৪ সালের শুরুতে ৫৮.৩ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২৩ সালের শুরুতে ৬৬.২ বিলিয়ন ডলার ছিল। টয়োটা ৬৪.৭ বিলিয়ন ডলার ব্র্যান্ড মূল্যে শীর্ষে এবং মেরসিডিজ ৫৩ বিলিয়ন ডলার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে।
লন্ডনভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান ভোক্তা জরিপ পরিচালনা করে এবং হাজার হাজার কোম্পানির আর্থিক বিশ্লেষণ করে, যার মধ্যে রাজস্ব, লাইসেন্সিং চুক্তি, মার্জিন ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে, এসব থেকে ব্র্যান্ডের অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
২০২৪ সালে টেসলার শেয়ারমূল্য ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ডিসেম্বরে রেকর্ডে পৌঁছেছিল। কিন্তু গ্রাহকদের কাছে ব্র্যান্ডের গ্রহণযোগ্যতা কমেছে। টেসলার সিইও ইলন মাস্কের রাজনৈতিক বক্তব্য এবং তার ব্যক্তিত্ব ব্র্যান্ডের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
২০২৪ সালে ফার্মের র্যাঙ্কিংয়ের অংশ হিসেবে, ব্র্যান্ড ফাইন্যান্স বিশ্বব্যাপী প্রায় ১,৭৫,০০০ জরিপের উত্তর বিশ্লেষণ করেছে, যার মধ্যে প্রায় ১৬,০০০ জন টেসলা সম্পর্কে তাদের মতামত ভাগ করে নিয়েছে। ফলাফলগুলি দেখায় যে গ্রাহকরা টেসলাকে যেভাবে দেখেন তা ওয়াল স্ট্রিটের মূল্যায়ণের থেকে অনেক আলাদা।
ব্র্যান্ড ফাইন্যান্সের সিইও ডেভিড হেইগ বলেন, ‘যারা তার সম্পর্কে ভালো ধারণা পোষণ করেন, তাদের সংখ্যাও অনেক, তবে যারা না-পছন্দ করেন তাদের সংখ্যাও কম নয়। যদি আপনি বৈদ্যুতিন গাড়ি কিনতে চান, তবে তার ব্যক্তিত্ব আপনার সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে পারে।’
ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র এবং এশিয়ার বাজারে টেসলার গ্রাহক আগ্রহ, সুনাম এবং প্রস্তাবনা স্কোর কমেছে। ইউরোপে টেসলার গ্রাহক আগ্রহ স্কোর ২১ শতাংশ থেকে ১৬ শতাংশে নেমে গেছে। টেসলার মার্কিন বাজারে ৯০ শতাংশ গ্রাহক লয়ালটি স্কোর বজায় রাখলেও প্রস্তাবনা স্কোর ৮.২ থেকে ৪.৩-এ নেমে গেছে।
২০২৪ সালে টেসলার ডেলিভারি ১ শতাংশ কমে ১.৭৯ মিলিয়ন গাড়িতে নেমে এসেছে, যদিও বৈশ্বিকভাবে ইভি চাহিদা বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে টেসলার ইভি মার্কেট শেয়ার ৫৫ শতাংশ থেকে ৪৯ শতাংশে নেমে গেছে।
ব্র্যান্ড ফাইন্যান্স সতর্ক করেছে যে, যদি টেসলা নতুন উদ্ভাবনী পণ্য আনতে ব্যর্থ হয় এবং মাস্কের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে না পারে, তাহলে ব্র্যান্ডটি তার সর্বোচ্চ সাফল্য থেকে নেমে যাবে।
সূত্র: সিএনবিসি।
এম হাসান