ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

প্রথম দিনই নির্বাহী আদেশের ঝড়

ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে লাখ লাখ অভিবাসীর চোখে অশ্রু

জনকণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:৪৭, ২১ জানুয়ারি ২০২৫

ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে লাখ লাখ অভিবাসীর চোখে অশ্রু

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সোমবার শপথের পরই একাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

দ্বিতীয় দফা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই নির্বাহী আদেশের ঝড় বইয়ে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর ওভাল অফিসে বসেই একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী আদেশে সই করেন তিনি। তার কলমের খোঁচায় বাইডেন আমলের অন্তত ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল হয়।

এসবের মধ্যে অভিবাসন,  জলবায়ু ও পরিবেশ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনাসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর ইস্যু রয়েছে। তার এক সিদ্ধান্তে দেশটিতে বসবাসরত লাখ লাখ অভিবাসী সমস্যায় পড়েছেন। তাদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি বাতিল হয়ে গেছে।   
ট্রাম্পের একের পর এক নির্বাহী আদেশ জারির লক্ষ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পথ থেকে দেশকে ফিরিয়ে আনা। এসব নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে নিজের এজেন্ডাকে সামনে নিয়ে এসেছেন ট্রাম্প। প্রাকৃতিক সম্পদের অনুসন্ধান ও তা উত্তোলনের সুযোগ তৈরি এবং শরণার্থী ও অভিবাসীদের অভয়ারণ্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র যে বৈশ্বিক ভূমিকা রাখছে, তা বদলে দেওয়া।

বাইডেনের যেসব আদেশ ট্রাম্প বাতিল করেছেন, তার মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের শরণার্থী কর্মসূচি নবায়ন এবং ধাপে ধাপে বিচার বিভাগের ব্যক্তিমালিকানাধীন কারাগারের ব্যবহার বন্ধ। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিওকে বেছে নেন ট্রাম্প। এই সিনিয়র কুটনীতিককে এ পদে মনোনয়ন দিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির প্রাথমিক ভূমিকা হবে শান্তি। খবর আলজাজিরা, বিবিসি ও সিএনএন অনলাইনের। 
ট্রাম্পের এসব নির্বাহী আদেশের কিছু নিশ্চিতভাবে আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে এবং অনেকগুলো প্রতীকী হিসেবে থাকবে। তবে একসঙ্গে এসব আদেশ বাইডেন প্রশাসন যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে পরিচালিত করেছে, তার চেয়ে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করার তার আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প ও তার সহকর্মীরা যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিপ স্টেট’ বলে যে ব্যবস্থাকে বুঝিয়েছেন, সেটা ভেঙে দেওয়ার প্রচেষ্টা স্পষ্ট হয়েছে।
প্রথম দিনে ট্রাম্প যেসব বিষয়ে পরিবর্তন এনেছেন-তা হচ্ছে, ১. সামরিক বাহিনী এবং অভিবাসন আইন বাস্তবায়ন (ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট), জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা ছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের সব বিভাগে কর্মী নিয়োগ বন্ধ।
২. বর্তমান ট্রাম্প প্রাশাসনের নিয়োগ করা ব্যক্তিরা পর্যালোচনা করার আগে কেন্দ্রীয় কোনো বিধিবিধান কার্যকর করা স্থগিত।
৩. বাইডেন প্রশাসনের অনুসন্ধানমূলক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা, যাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হাতিয়ার এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করা সংশ্লিষ্ট বিগত প্রশাসনের ‘অপকর্ম’ সংশোধন করা যায়।
৪. প্রচলিত যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া ছাড়াই হোয়াইট হাউসের কর্মীদের নিরাপত্তা বিভাগের ছাড়পত্র প্রদান।
৫. দূরবর্তী স্থানে বসে কাজের সুযোগ বন্ধ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের পুরো সময় অফিসে এসে কাজ করার নির্দেশ।
৬. যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে পৌঁছানো ব্যক্তিদের আশ্রয়ের আবেদনের সুযোগ বন্ধ।
৭. জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব বাতিল।
৮. যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা।
৯. যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থী মেক্সিকোর অধিবাসী নন এমন ব্যক্তিদের এ সংক্রান্ত শুনানি হওয়ার আগপর্যন্ত মেক্সিকোয় অপেক্ষা।
১০. মাদক চক্রগুলোকে ‘বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা।
১১. সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে স্কুল এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো নারী ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সহায়তায় বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করা হয়। ‘বৈচিত্র্য, ন্যায্যতা ও অন্তর্ভুক্তির (ডিইআই)’ অধীন শ্রেণিবদ্ধ এসব চর্চার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার তহবিল দিয়ে আসছিল। ট্রাম্প এই কর্মসূচির ইতি টেনেছেন।
১২. দুটি জেন্ডারের স্বীকৃতি পুরুষ ও নারী।
১৩. কেন্দ্রীয় সরকারের কারাগারগুলোতে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের সুরক্ষা প্রত্যাহার।
১৪. প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
১৫. যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতীয় জ্বালানি জরুরি অবস্থা ঘোষণা।
১৬. ৬২৫ মিলিয়ন একর জলসীমায় খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনায় বাইডেনের নিষেধাজ্ঞা বাতিলের প্রচেষ্টা। 
১৭. টিকটক নিয়ে ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এতে চীনা মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যম টিকটক নিষিদ্ধ করার আইন স্থগিত হলো। ট্রাম্প এর আগে টিকটকের ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি তার এ অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। ট্রাম্প বলেছেন, গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় টিকটকে তার ভিডিওগুলো কোটি কোটিবার দেখা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য ইস্যুতে ট্রাম্প বহু নির্বাহী আদেশ জারি করেন। 
ট্রাম্পের অভিবাসন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে ভেঙে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ অভিবাসী। ৪৮ বছর বয়সী মারগেইলস টিনোকো নামের এক কলম্বিয়ান নারী অভিবাসী বলেন, ‘আমি জানি না, আমার জীবনের এখন কী হবে। এই নারী তার স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে দীর্ঘ এক বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন।

সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এরই মধ্যে মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘লাখ লাখ অপরাধী দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভরে গেছে। তারা যেখান থেকে এসেছে সেখানে ফেরত পাঠানো হবে।’ এরপরই তিনি সিবিপি ওয়ান অ্যাপ বন্ধের ঘোষণা দেন। কলম্বিয়ান অভিবাসী টিনোকো তার মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে একটি খুদে বার্তা দেখিয়ে বলেন, ‘শরণার্থী হিসেবে আমাদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি বাতিল হয়ে গেছে। এরপর কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘দয়া করে আমাদের থাকতে দিন। 
আমরা এক সময় ভেনিজুয়েলায় ছিলাম। সেখান থেকে আসার পর গত ছয় মাস অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ২৭ বছর বয়সী আইম পেরেজ এসেছেন কিউবা থেকে। তিনিও ট্রাম্পের প্রতি আবেগঘন আকুতি জানান। পেরেজ বলেন, ‘আমরা যেহেতু এখানে আছি, তাই দয়া করে আমাদের থাকতে দিন। এখানে আসতে আমরা অনেক কষ্ট করেছি।

আপনার দেশে আমাদের ঢুকতে দিন, যেন আমরা জীবনকে আরও উন্নত করতে পারি এবং আপনাদের মতোই একজন হয়ে থাকতে পারি। আরেক অভিবাসী অ্যান্টনি হেরেরা ভেনিজুয়েলা থেকে এসে যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে স্ত্রী ও তিন শিশু সন্তান নিয়ে এসেছি। এখন শুনছি আমাদের প্রবেশের অনুমতি বাতিল হয়ে গেছে। ৩১ বছর বয়সী হেরেরা বলেন, ‘সামনে যে কী অপেক্ষা করছে, জানি না।
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, তিনি তার অভিষেকের আগে যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে সুরক্ষিত করার জন্য তার কূটনীতি সত্ত্বেও গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হবে বলে তিনি নিশ্চিত নন। 
হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার সময় একজন সাংবাদিক তার কাছে দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতি বজায় রাখবে এবং চুক্তি অগ্রসর হবে কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী নই। 
ট্রাম্প বলেছেন, ‘এটা আমাদের যুদ্ধ নয়, এটা তাদের যুদ্ধ। কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাসী নই।
ট্রাম্প অবশ্য বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ওপর নজিরবিহীন হামলার মাধ্যমে শুরু হওয়া যুদ্ধে হামাস ‘দুর্বল’ হয়ে পড়েছে। তিনি বলেছেন, ‘আমি গাজার একটি ছবি দেখেছি। গাজা একটি বিশাল ধ্বংসস্থলের মতো। ধনকুবের থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা ট্রাম্প বলেছেন পুনর্গঠন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে গাজাকে দেখতে ‘অসাধারণ লাগবে’।
তিনি বলেছেন, ‘গাজা সমুদ্রের কাছে একটি অভূতপূর্ব অবস্থান-কী চমৎকার আবহাওয়া। আপনি জানেন, এখানকার সবকিছুই ভালো। গাজা দেখতে এত সুন্দর যে, এখানে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু করা যেতে পারে। 
একাধিক মামলা, বারবার হত্যাচেষ্টা ও অভিসংশনের মুখোমুখি হওয়ার পরও হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয় দফা পা রেখে ইতিহাসে ঠাঁই করে নিলেন ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাকে শপথ পড়ান দেশটির সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। দুটো বাইবেলে হাত রেখে শপথ নেন ট্রাম্প। একটি বাইবেল তার মায়ের দেওয়া। অন্যটি আব্রাহাম লিংকনের বাইবেল।

এই বাইবেলে ছুয়ে শপথ নিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে আগের কয়েকজন প্রেসিডেন্ট। ১৮৬১ সালে আব্রাহাম লিংকন নিজে এই বাইবেল ছুঁয়ে শপথ নিয়েছিলেন। ক্যাপিটল হিলের অভ্যন্তরে রোটান্ডায় এই শপথ হয়। এ সময় তার পরিবারের সদস্যসহ একাধিক সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট উপস্থিত ছিলেন। শপথের পর ট্রাম্প প্রায় ৩০ মিনিট অভিষেক ভাষণ দেন। ভাষণে পেনসিলভানিয়ায় তার ওপর হামলা ও বিশ্বব্যবস্থার বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন। 
ভাষণের প্রথমেই তিনি বলেন, এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে স্বর্ণযুগ শুরু হচ্ছে। শপথ অনুষ্ঠানে অন্যদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে ট্রাম্পের ভাষণের সময় তবে তাকে বেশ বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। একেবারে মনমরা হয়ে বসেছিলেন নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ও পরাজিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমালা হ্যারিস। নিজের ভাষণে বাইডেন প্রশাসনের নীতি ও বিভিন্ন পদক্ষেপের সমালোচনা করেন ট্রাম্প। 
ভাষণে তিনি আরও বলেন, এখন থেকে সামনের দিনগুলোয় আমাদের দেশ আরও সমৃদ্ধ আর সম্মানজনক অবস্থানে উঠে আসবে। আমার একমাত্র লক্ষ্য হবে, আমেরিকা ফার্স্ট। ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমাদের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার করা হবে, আমাদের নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার করা হবে, পুনরায় ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনা হবে।

আমরা একটি গর্বিত, সমৃদ্ধশালী ও স্বাধীন জাতি তৈরি করার লক্ষ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিবো। শপথ গ্রহণের দিনটিকে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের মুক্তির দিন বলে বর্ণনা করেন। ট্রাম্পের কিছুক্ষণ আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন জেডি ভান্স। এ সময় তোপধ্বনি মাধ্যমে নতুন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানানো হয়। ক্যাপিটলে যাওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং তার স্ত্রী জিল ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মেলানিয়াকে হোয়াইট হাউসে এক চায়ের আমন্ত্রণে স্বাগত জানান। 
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনের কাছে পরাজয়ের পর পৌঁছে গিয়েছিলেন খাদের কিনারে; সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে, আততায়ীর বুলেট এড়িয়ে, অধিকাংশ মার্কিন ভোটারের সমর্থন নিয়ে ৫ নভেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এই রিপাবলিকান নেতা। তীব্র শীতের কারণে ৪০ বছরের মধ্যে এই প্রথম অভিষেক অনুষ্ঠান মার্কিন ক্যাপিটল ভবনের পশ্চিম দিকের খোলা সিঁড়ির পরিবর্তে গম্বুজওয়ালা গোলাকার হলঘর রোটান্ডায় অনুষ্ঠিত হয়।  
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিও। মঙ্গলবার এ পদে তিনি শপথ নেন। এর ফলে তিনিই হবেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার প্রথম সদস্য, যিনি কংগ্রেসের অনুমোদন পেতে যাচ্ছেন। সিনেটের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটিতে তার কয়েক বছরের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সংঘাতের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছেন তিনি।

তিনিই এখন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরে মোট প্রায় ৭০ হাজার কর্মী কাজ করে থাকে। রুবিওকে পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে খুবই কট্টর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশেষত ইরান ও চীনের বিষয়ে। তিনি বলেন যুক্তরাষ্ট্র এখন নতুন যুগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যা বিশ্বকে আরও নিরাপদ করে তুলবে। তবে ট্রাম্প পরিষ্কার করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির প্রাথমিক ভূমিকা হবে শান্তি।

×