সংগৃহীত ছবি
মায়ানমার জান্তার বিমান হামলায় পশ্চিম রাখাইন রাজ্যের একটি অস্থায়ী আটক কেন্দ্রে নয় শিশুসহ ২৮ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহী গোষ্ঠী এ তথ্য জানিয়েছে। জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি গ্রামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর আরেকটি বিমান হামলায় শিশুসহ কমপক্ষে ৪০ জন বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পরে শনিবারের বিমান হামলা হয়।
আরাকান আর্মি (এএ) তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করেছে যে, একটি সামরিক জেট শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪:৪৫ মিনিটে মরাউক-ইউ টাউনশিপের একটি আটক এলাকায় বোমা হামলা করেছে। সে কেন্দ্রে আরাকান আর্মি দেশের সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধের সময় জান্তা সৈন্যদের পরিবারের সদস্যদের আটক করেছিল বলে জানা গেছে।
আরাকান আর্মির দাবি, “যারা নিহত ও আহত হয়েছে তারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সৈন্যদের পরিবারের সদস্য। আমরা লড়াইয়ের সময় তাদের গ্রেপ্তার করেছি। হামলায় আহত হয়েছেন ২৫ জন।" বিদ্রোহী এ গোষ্ঠীটি আরো বলেছে, "আমরা যখন তাদের মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করছিলাম, তখন তাদের উপর বোমা ফেলা হয়েছে।"
তবে, পশ্চিম রাখাইন রাজ্যের মরাউক-ইউ টাউনশিপে বিমান হামলাটি ভুল নিশানা করা হয়েছিল, নাকি জান্তা সৈন্যরা পরিবারের আটক সদস্যদের অবস্থান সম্পর্কে অবগত ছিল না তা স্পষ্ট নয়। বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে ৯ শিশু এবং বেশ কয়েকজন নারী ছিল।
আরাকান আর্মি হলো রাখাইন জাতিগত সংখ্যালঘু আন্দোলনের সামরিক শাখা। এটি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির একটি জোটের অংশ যা সম্প্রতি মিয়ানমারের উত্তর-পূর্বে, চীন সীমান্তের কাছে সম্প্রসারিত হয়েছে।
১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সাল থেকে, যখন সামরিক জান্তা মিয়ানমারের দখল নেয় তখন থেকে আরাকান আর্মি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ ও সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। জান্তা কর্তৃক গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের উৎখাত সশস্ত্র প্রতিরোধের সূচনা করে। বিদ্রোহী বাহিনী এখন দেশের বিশাল অংশের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
এর ফলে দেশের লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে, সংঘাতের কারণে রাখাইন রাজ্য দুর্ভিক্ষের কাছাকাছি। এবং মিয়ানমার জুড়ে ৩.৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
JF