ছবি: সংগৃহীত
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সময় ১৭৬৫ থেকে ১৯০০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য ভারত থেকে ৬৪.৮২ ট্রিলিয়ন ডলার লুট করেছে। এর মধ্যে ৩৩.৮ ট্রিলিয়ন ডলার গেছে ধনী ১০ শতাংশ মানুষের হাতে। এই পরিমাণ টাকা দিয়ে ৫০ পাউন্ডের নোটে পুরো লন্ডন শহরের চার গুণ এলাকা ঢেকে ফেলা সম্ভব।
এই তথ্য উঠে এসেছে মানবাধিকার সংগঠন অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের সর্বশেষ বৈশ্বিক অসমতা বিষয়ক রিপোর্টে। প্রতিবছর ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম দিনে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
‘টেকারস, নট মেকারস’ নামে এই রিপোর্টটি সোমবার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলন শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়েছে, আধুনিক বহুজাতিক কোম্পানির ধারণা ঔপনিবেশিকতাকে কেন্দ্র করেই সৃষ্টি।
অক্সফাম বলেছে, “ঐতিহাসিক ঔপনিবেশিক শাসনের সময় তৈরি হওয়া অসমতা ও শোষণের ধারা এখনো আধুনিক জীবনে প্রভাব ফেলছে।
“এটি এমন এক গভীরভাবে অসম সমাজ সৃষ্টি করেছে, যেখানে বর্ণবৈষম্যের ভিত্তিতে বিভাজন চলমান। বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চল থেকে সম্পদ কেড়ে নিয়ে উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে ধনী মানুষদের জন্য এটি বরাদ্দ করা হয়েছে।”
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে বর্তমানে অনেক ধনী ব্যক্তির পারিবারিক সম্পদের উৎস দাসত্ব ও ঔপনিবেশিক শাসনের সাথে যুক্ত। দাসপ্রথা বিলুপ্তির সময় ধনী দাসমালিকদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে যে অর্থ দেওয়া হয়েছিল, তার উপর ভিত্তি করেই তাদের পারিবারিক সম্পদ গড়ে ওঠে।
অক্সফাম জানিয়েছে, আধুনিক বহুজাতিক কোম্পানির মডেল মূলত ঔপনিবেশিক শোষণের উপর দাঁড়িয়ে আছে। এই মডেল তৈরি হয়েছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে।
সূত্র: দ্য ট্রিবিউন
নাহিদা