ছবি- সংগৃহিত
আমেরিকায় সরকারি নথিপত্রে দুইটি লিঙ্গের কথা উল্লেখ থাকবে— পুরুষ এবং নারী। ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পরই পুরনো নিয়ম বদলে ফেলার কথা বলেছেন। শীঘ্রই এই বিষয়ে নির্বাহী আদেশ জারি করা হবে।
দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা জানিয়েছে, আমেরিকায় সরকারিভাবে খাতায় দুইটি লিঙ্গ উল্লেখ থাকবে— পুরুষ এবং নারী। এর বাইরে অন্য কোনও লিঙ্গ থাকবে না। সোমবার (২০ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নিয়েই সরকারি নীতি স্পষ্ট করে দিয়েছেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প জানান, শীঘ্রই তিনি এ বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশও জারি করবেন।
শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প বলেন, এখন থেকে আমেরিকার সরকারি নীতি অনুসারে শুধুমাত্র দুইটি লিঙ্গ থাকবে— পুরুষ এবং নারী। নির্বাহী আদেশ অনুসারে পাসপোর্ট, ভিসা এবং অন্য সব সরকারি নথিপত্রে পুরুষ এবং নারী— এই দুইটি লিঙ্গ উল্লেখ থাকবে। নির্দেশ অনুসারে, শারীরিক গঠনগত দিক থেকে যে মানুষ যে লিঙ্গের, সেটিই উল্লেখ থাকবে সরকারি নীতিতে। কোনও পুরুষ নিজেকে নারী মনে করতে পারেন, বা কোনও নারী নিজেকে পুরুষ মনে করতে পারেন, সরকারি নথির ক্ষেত্রে এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে।
চার বছর আগে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওভাল অফিসের দায়িত্ব নিয়ে প্রথম দিনে রূপান্তরকামীদের জন্য সরকারি নথিতে পৃথক লিঙ্গের ব্যবস্থা নিয়ে নীতি চালু করেছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসেই ওই নীতি বদলে ফেলতে উদ্যোগী হলেন।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছে আমেরিকার বিভিন্ন মানবাধিকার এবং তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার সংক্রান্ত সংগঠনগুলি।
আমেরিকায় তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় সংগঠন "হিউম্যান রাইট্স ক্যাম্পেন"-এর সভাপতি কেলি রবিনসন বলেছেন, আমরা পিছু হটছি না। ভয়ও পাচ্ছি না। আমরা কোথাও পালিয়ে যাচ্ছি না। আমরা নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই করব।
সূত্র- দ্য গার্ডিয়ান
মনিষা মিম