ছবি : সংগৃহীত
শপথ গ্রহণের পর ট্রাম্প বলেন, “আজ থেকে আমেরিকার সুবর্ণ যুগ শুরু হচ্ছে। এই দিন থেকে আমাদের দেশ আবারও উন্নতি লাভ করবে এবং সারা বিশ্বে সম্মান অর্জন করবে।”
অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ও ভাইস প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিতের পরিবার, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি, বিদেশি কূটনীতিক, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। এছাড়া টেক দুনিয়ার পরিচিত মুখরাও উপস্থিত ছিলেন। টেসলার সিইও এলন মাস্ক, যিনি ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় ভূমিকা রাখেন এবং মন্ত্রিসভায় একটি পদ পান, ছিলেন রোটুন্ডায়। আরও ছিলেন মেটার মার্ক জাকারবার্গ, অ্যামাজনের জেফ বেজোস, টিকটকের সিইও শো জি চিউ, গুগলের সুন্দর পিচাই এবং ওপেনএআই-এর স্যাম অল্টম্যান।
ট্রাম্প তাঁর ভাষণে লস অ্যাঞ্জেলেসে চলমান জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “আমাদের দেশ জরুরি পরিস্থিতিতে মৌলিক সেবা দিতে পারছে না। সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলেসে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা অগ্নিকাণ্ডের কোনো প্রতিরোধই করা যায়নি। ধনীদের বাড়িঘরও ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি আর হতে দেওয়া যাবে না। এই অবস্থার পরিবর্তন আনতে হবে।”
তিনি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে কঠোর অভিবাসন নীতি বাস্তবায়ন, বর্ণ ও লিঙ্গের সামাজিক প্রকৌশল বন্ধ করে “রঙ-অন্ধ ও যোগ্যতাভিত্তিক আমেরিকা” গড়ে তোলার কথা বলেন। এমনকি মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে “গালফ অফ আমেরিকা” করার প্রস্তাব দেন, যা শুনে হিলারি ক্লিনটন হাসতে শুরু করেন।
ট্রাম্প আরও বলেন, “আমি সরকারে সমস্ত সেন্সরশিপ অবিলম্বে বন্ধ করতে এবং আমেরিকায় বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে একটি নির্বাহী আদেশে সই করব।”
অনুষ্ঠানে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে শপথবাক্য পাঠ করান বিচারপতি ব্রেট কাভানাহ।
উল্লেখ্য, বাইরে শপথ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ১৬০০ আসনের প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত থাকলেও, রোটুন্ডায় স্থানান্তরের কারণে ৭৫০ আসনে সীমিত করতে হয়েছে। ফলে প্রায় ২,৫০,০০০ টিকিটধারী অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখার সুযোগ হারান।
চীন থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং এবং নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস, যিনি শুক্রবার ট্রাম্পের সাথে মধ্যাহ্নভোজ করেন, অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
মো. মহিউদ্দিন