ছবি: সংগৃহীত।
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথ নেওয়ার পর তিনি ঘোষণা করেন, “আমেরিকা এখন স্বর্ণযুগে প্রবেশ করেছে।” তবে, ট্রাম্পের জয়ের পর আর্নোল্ড শোয়ার্জনেগারের যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যাওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল, যা মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তিনি।
গুজবটি ছড়ানো হয়েছিল যে, ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হয়ে শোয়ার্জনেগার দেশ ত্যাগের পরিকল্পনা করছেন। তবে শোয়ার্জনেগার এই খবর সম্পূর্ণ ভুল বলে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “আমি অস্ট্রিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছি, কিন্তু আমেরিকায় গড়ে উঠেছি এবং আমি কখনও এই দেশ ছেড়ে যাব না।”
শোয়ার্জনেগার, যিনি ক্যমালা হ্যারিসকে সমর্থন করেছিলেন, তার নির্বাচনী সমর্থন নিয়ে বলেন, “আমার মতে, রিপাবলিকানরা মুক্তবাজারের সৌন্দর্য ভুলে গিয়েছে, ঘাটতি বাড়াচ্ছে এবং নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছে। ডেমোক্রেটররা ঘাটতি নিয়ে চিন্তিত নয়, এবং তাদের স্থানীয় নীতিগুলি আমাদের শহরগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।”
তিনি আরও বলেন, “তবে আমি সর্বদা একজন আমেরিকান, রিপাবলিকান নয়। এজন্য আমি ক্যমালা হ্যারিস এবং তার ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী টিম ওয়ালজকে ভোট দিয়েছি।”
ট্রাম্প সম্পর্কে শোয়ার্জনেগার মন্তব্য করেছেন, “আমরা আমেরিকান ইতিহাসের এই অধ্যায়টি বন্ধ করতে চাই। ট্রাম্প বিভাজন সৃষ্টি করতে চান, মানুষকে অপমান করেন এবং জনগণ তার কাছ থেকে শুধুই ক্ষোভ আর হতাশা পায়।”
১৯৬৮ সালে ২১ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন শোয়ার্জনেগার। ১৯৮৩ সালে নাগরিকত্ব লাভ করেন এবং পরে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হিসেবে ২০০৩ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
নুসরাত
