ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১

এবার লাদাখ নাকি অরুণাচল হারাতে চলছে ভারত?

প্রকাশিত: ২০:৪৭, ২০ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২০:৪৮, ২০ জানুয়ারি ২০২৫

এবার লাদাখ নাকি অরুণাচল হারাতে চলছে ভারত?

ছবি: সংগৃহীত।

ভারত ও চীনের মধ্যে চলমান সংঘাতের ইতিহাস প্রায় সাত দশক। ১৯৬২ সালে চীনের কাছে পরাজিত হওয়ার পর থেকে ভারতের মনোকষ্টের অন্ত নেই। সেই যুদ্ধে ভারত হারায় লাদাখের উত্তর-পূর্ব অংশ, যা আজ 'আকসাই চীন' নামে পরিচিত, চীনের দখলে চলে যায়। তখন থেকেই ভারত বেদনায় গলছে, তবে সে ক্ষোভ প্রকাশ করার সঠিক উপায় খুঁজে পাচ্ছে না দিল্লি। সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি করে চীন এখন ভারতকে চেপে ধরার জন্য আবারও প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সম্প্রতি লাদাখের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (LAC) এলাকায় বিশাল আকারের সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। এটি একটি নিয়মিত অনুশীলন হলেও, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে একে হালকা ভাবে নেয়া হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনা সেনারা যুদ্ধকালীন দ্রুত গোলাবারুদ সরবরাহের মহড়া সম্পন্ন করেছে এবং পাহাড়ি এলাকায় যুদ্ধ কৌশলের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে। এছাড়া, খাড়া ভূখণ্ডে যানবাহন চলাচলের দক্ষতাও অনুশীলন করা হয়েছে।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, লাদাখের উচ্চতর পাহাড়ি এলাকায় এই মহড়ার মাধ্যমে চীন হিমালয় অঞ্চলে নিজেদের সামরিক দখল আরও দৃঢ় করেছে।

চীন শুধু সেনার মাধ্যমে নয়, ভারতকে মোকাবিলা করার জন্য সীমান্তে বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জামও সংগ্রহ করেছে। পেন্টাগনের তথ্য মতে, চীন ওই অঞ্চলে আধুনিক ট্যাংক, কামান, এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের বিশাল ভাণ্ডার তৈরি করেছে। এমনকি, সংঘর্ষ শুরুর আগেই বিশেষ ব্রিগেড ও সামরিক সরঞ্জাম তাদের তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে চীন।

আরো উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করেছে পেন্টাগন। চীন তাদের দূরপাল্লার আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা দ্রুত বাড়াচ্ছে এবং পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারেও প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন।

এই পরিস্থিতিতে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যেই চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেছেন এবং বিশ্ব শান্তি রক্ষার বিষয়ে দুই দেশের যৌথ সহযোগিতা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। কিন্তু, ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে মোদিকে আমন্ত্রণ না জানানো, এবং চীনের প্রতি তার সমর্থন ভারতীয় নেতৃত্বের জন্য একটি সতর্ক সংকেত হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এই পরিবর্তিত অবস্থায়, মোদির কপালে নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে, এবং মনে করা হচ্ছে, ট্রাম্পের কাছ থেকে ভারত এবার বিশেষ কোনো সহানুভূতি পাবে না।

নুসরাত

×