আজ দ্বিতীয় বারের মত মার্কিন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথগ্রহণ করে প্রথম দিনেই সীমান্ত নিরাপত্তা, জ্বালানি, আমেরিকান পরিবারগুলোর জীবনযাত্রার ব্যয় হ্রাস এবং ফেডারেল সরকারের কার্যপদ্ধতির ওপর ফোকাস করে প্রায় ২০০টিরও বেশি নির্বহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
অবশ্য মার্কিন নির্বাচনে জেতার পর থেকেই তিনি এবং তাঁর মনোনীত সদস্যদের দল কাজে লেগে পড়েছিলেন। এই আবহে ট্রাম্পের দলের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা ফক্স নিউজকে জানিয়েছেন, প্রথম দিনই ট্রাম্প বেশ কিছু 'অমনিবাস' নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন।
সেই কর্মকর্তাদের কথায়, 'প্রেসিডেন্ট ঐতিহাসিক ধারাবাহিক নির্বাহী আদেশ ও পদক্ষেপ জারি করছেন যা আমেরিকান সরকারকে মৌলিকভাবে সংস্কার করবে। এই সব নির্দেশের মধ্যে আমেরিকান সার্বভৌমত্বের বিষয়টিও রয়েছে।' খবর অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই জাতীয় সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে চলেছেন ট্রাম্প। এছাড়া আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত সুরক্ষিত করতে মার্কিন সামরিক বাহিনী ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে নির্দেশ দেবেন তিনি। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে যে সকল অপরাধ চক্র সক্রিয় আছে, তা ধ্বংস করার বিষয়টিকে জাতীয় অগ্রাধিকার দেবেন ট্রাম্প।
ফক্স নিউজ ডিজিটালের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প সব অবৈধ বহিরাগত অভিবাসীদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেবেন। এছাড়া তিনি এফবিআই, আইসিই, সিইএ এবং অন্যান্য এজেন্সির কর্মকর্তাদের নিয়ে অপরাধী কার্টেলদের নির্মূল করার জন্য টাস্কফোর্স গঠন করবেন। ট্রাম্প এই কার্টেলগুলিকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে তালিকাভুক্ত করবেন। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মিশনকে শক্তিশালী করার জন্য নতুন পদক্ষেপের ঘোষণা করবেন ট্রাম্প। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ট্রাম্প 'স্টে ইন মেক্সিকো' এবং 'ক্যাচ অ্যান্ড রিলিজ' নীতি পুনর্বহাল করবেন। সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ অব্যাহত রাখতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেবেন এবং অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ স্থগিত করতে সামরিক বাহিনীকে জরুরি ক্ষমতা দেবেন।
সুত্র: দ্য হিন্দুস্তান টাইমস/ফক্স নিউজ
ফুয়াদ