ছবি: সংগৃহীত
প্রায় ১৫ মাস ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসান ঘটিয়ে বহুল প্রতীক্ষিত গাজা যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। যুদ্ধবিরতির এ খবরে শুধু গাজাই নয়, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে আনন্দের জোয়ার। এই চুক্তির প্রথম পর্যায়ে ৩ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস, যার বিপরীতে ইসরাইল মুক্তি দিয়েছে তাদের কারাগারে বন্দি ৯০ জন ফিলিস্তিনিকে।
গত ১৫ মাসের এ সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৪৭ হাজার মানুষ। আহত হয়েছেন লাখেরও বেশি এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি। গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র ফুটে উঠেছে। হাসপাতাল, স্কুল ও বসতবাড়ি ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে।
যুদ্ধবিরতির এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। তবে, তারা সতর্ক করে দিয়েছে যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় উভয় পক্ষকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও এ যুদ্ধবিরতি আশার আলো দেখাচ্ছে, তবুও দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য উভয় পক্ষকে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। এ সংঘাত যেন পুনরায় শুরু না হয়, সেজন্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ এবং আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা জরুরি।
গাজার আকাশে এখন শান্তির প্রত্যাশায় নতুন সূর্যের আলো। কিন্তু বাস্তুচ্যুত, আহত এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও সাহায্য প্রদান এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ।
সুত্র: https://www.youtube.com/watch?v=O0WoAXlsJcU
জাফরান