বন্দিদশা থেকে মুক্তির পর স্বজনদের পেয়ে গাজাবাসীর আনন্দ।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরাইল ও হামাস দুই পক্ষ জিম্মি ও বন্দিদের মুক্তি দিতে শুরু করেছে। যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে হামাস ৩ জিম্মিকে ইসরাইলের কাছে হস্তান্তর করেছে। আর ইসরাইলের কারাগার থেকে ৯০ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) ভোর ৩টার দিকে কারাগার থেকে অন্য একটি কারাগারে স্থানান্তরের মাধ্যমে ইসরাইল-গাজা সীমান্তের কাছে মুক্তির যাত্রা শুরু হয়।
বুশরা আল-তাউইল নামের একজন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক যাকে ২০২৪ সালের মার্চে বন্দি করা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, প্রথম মুক্তি পাওয়ার খবর জানতে পারেন অন্যান্য বন্দিদের কাছ থেকে যারা একটি শুনানিতে অংশ নিয়েছিল।
বুশরা আল-তাউইল বলেন, ‘আইনজীবীরা তাদের বলেছিলেন যে (যুদ্ধবিরতি) চুক্তি ঘোষণা করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়নের পর্যায়ে রয়েছে। অপেক্ষার সময়টি অত্যন্ত কঠিন ছিল। তবে আলহামদুলিল্লাহ, আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে যেকোনো মুহূর্তে আমরা মুক্তি পাব।
তিনি তার পিতার বিষয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন, যিনি এখনও একটি ইসরাইলি কারাগারে বন্দি রয়েছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসাবে তার পিতাকেও পরবর্তীতে মুক্তি দেওয়া হবে বলে খবর পেয়েছেন।
গাজার ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে এবং খুব প্রয়োজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছে। কারণ, ইসরাইলি বাহিনী অবশেষে ১৫ মাসব্যাপী অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে তাদের বোমাবর্ষণ বন্ধ করেছে।
জানা গেছে, এখন থেকে প্রতিদিন গাজায় ত্রাণবাহী অন্তত ৬০০ ট্রাক প্রবেশ করবে, যা এরই মধ্যে এসে পৌঁছেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। সে হামলার অবসান হলো ২০ জানুয়ারি থেকে। তবে এরই মধ্যে প্রাণ চলে গেছে ৪৬ হাজার ৯১৩ ফিলিস্তিনির। আহত হয়েছেন এক লাখ ১০ হাজার ৭৫০ জন।
সূত্র: আল-জাজিরা ও বিবিসি।
এম হাসান