আজ ২০ জানুয়ারি ২০২৫, প্রেসিডেন্টের শেষ কর্ম দিবস।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার শেষ পূর্ণ কর্মদিবসে দক্ষিণ ক্যারোলিনার কৃষ্ণাঙ্গ গির্জার উষ্ণ পরিবেশে ডেমোক্র্যাটদের হতাশা কাটানোর বার্তা দিলেন। রোববার নর্থ চার্লস্টনের রয়্যাল মিশনারি ব্যাপটিস্ট চার্চে বাইডেনকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয় এবং উপস্থিত জনতা তাকে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানায়।
বাইডেন, যিনি নিজেকে "পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সেতুবন্ধন" বলেছিলেন, তার মেয়াদ শুরু করেছিলেন একটি বৈশ্বিক মহামারীর মধ্যে। আর এখন, ট্রাম্পের পুনরায় ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে পার্টিজান বিভাজনে বিদীর্ণ একটি দেশ তাকে বিদায় জানাচ্ছে।
ডিসির দোকানগুলোতে বাইডেন/হ্যারিসের স্মারক সামগ্রী ছাড়মূল্যে বিক্রি হচ্ছে, জায়গা করে নিচ্ছে ট্রাম্পের নতুন পণ্য। কংগ্রেসে ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার সদস্যদের জন্য শুনানি চলছে, যারা "ওয়াশিংটনের নিয়মিত ব্যবস্থাকে" পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
বাইডেনের বিদায়বেলায় ওয়াশিংটন একদিকে প্রস্তুত হচ্ছে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য, আর অন্যদিকে প্রতিফলন করছে গত চার বছরের অর্জন ও অসন্তোষ।
সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে বহু প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মধ্যেই বাইডেন তার চার বছরের মেয়াদ শেষ করছেন।আজ সোমবার, তিনি রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন, যাকে ডেমোক্র্যাটরা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি মনে করে।
বাইডেন তার দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন, তবে জানান, তিনি এখনও রাজনীতির মঞ্চ ছাড়ছেন না। "আমি এখনও ক্লান্ত নই। আমি কোথাও যাচ্ছি না," বাইডেন বলেন। তার কথায় করতালিতে ভরে যায় চার্চ।
বাইডেন মনে করান, ২০২০ সালে সাউথ ক্যারোলিনার কৃষ্ণাঙ্গ ভোটাররাই তার রাজনৈতিক জীবন বাঁচিয়েছিল। প্রতিনিধি জিম ক্লাইবার্নের সমর্থন তাকে সেখানে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট প্রাইমারি জিততে সাহায্য করেছিল। তিনি বলেন, "শেষ দিনটি কাটানোর জন্য এর চেয়ে ভালো জায়গা আর হতে পারে না।"
সূত্র:Politico
আফরোজা