ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১

প্রথমে গাজার যুদ্ধবিরতি, এবার ২৪ ঘন্টায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের

প্রকাশিত: ২১:৫৮, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২২:০১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

প্রথমে গাজার যুদ্ধবিরতি, এবার ২৪ ঘন্টায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের

ছবিঃ সংগৃহীত

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ এক দিনে শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার দাবি ছিল, তিনি শপথ নেওয়ার পরই বা তার আগেই এই যুদ্ধে ইতি টানতে সক্ষম হবেন।

কিন্তু হোয়াইট হাউজে দ্বিতীয়বার প্রবেশের প্রাক্কালে স্পষ্ট হয়েছে, এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হওয়া সম্ভব নয়। প্রায় তিন বছর ধরে চলমান রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের কোনো শেষ দেখা যাচ্ছে না। পূর্ব ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইনে তীব্র লড়াই চলছে। রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয় পক্ষেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, রাশিয়ার ৭ লাখেরও বেশি সৈনিক নিহত বা আহত হয়েছে।

ট্রাম্পের নির্বাচনী বিজয়ের পর তার দল এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের সরকারের কাছে কোনো শান্তি প্রস্তাব দেয়নি। কূটনৈতিক যোগাযোগও তেমন কার্যকর হয়নি। ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনা কীভাবে সম্ভব হবে, তা নিয়ে ট্রাম্পের দলের মধ্যেই নানা সংশয় দেখা দিয়েছে।

শত দিনের পরিকল্পনা

ট্রাম্পের বিশেষ দূত হিসেবে মনোনীত লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) কিথ কেলোগ বলেছেন, প্রশাসনের লক্ষ্য ১০০ দিনের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি নিশ্চিত করা। তিনি বলেছেন, “আমরা চাই এমন একটি সমাধান যা টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত হবে এবং এই যুদ্ধের নৃশংসতা বন্ধ করবে।”

নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কাজে লাগিয়ে তিনি দ্রুত সমাধান আনবেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর রোডম্যাপ প্রকাশ করেননি।

ট্রাম্প ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সামরিক সহায়তা হ্রাসের সম্ভাবনার কথা বলেছেন এবং মনে করিয়ে দিয়েছেন যে ইউরোপীয় দেশগুলোকেও এই যুদ্ধে আরও বেশি ভূমিকা নিতে হবে। তার মন্তব্যে ইউক্রেনের মিত্রদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে যে নতুন প্রশাসন ইউক্রেনকে কঠিন ছাড় দিতে বাধ্য করতে পারে।

সমাধানের সম্ভাবনা কতটা বাস্তবসম্মত?

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, তারা ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের কিছু অংশকে “অগ্রহণযোগ্য” বলে উল্লেখ করেছেন। রাশিয়া চায় ইউক্রেনকে স্থায়ীভাবে নিরপেক্ষ একটি রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে এবং তাদের সামরিক ক্ষমতায় কঠোর সীমা আরোপ করতে।

অন্যদিকে, ইউক্রেনের ওপর আরও সৈন্য সংগ্রহের চাপ বাড়তে পারে। ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ সম্প্রতি ইউক্রেনকে তাদের ড্রাফট সিস্টেম পরিবর্তন করার পরামর্শ দিয়েছেন।

ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পরপরই কেলোগের ইউক্রেন সফরের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে তার সফরের ফলাফল কী হবে তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।


তথ্যসূত্রঃ https://www.nbcnews.com/investigations/trumps-promise-end-ukraine-war-day-meets-harsh-realities-rcna188167

মারিয়া

×