ছবিঃ সংগৃহীত
ভিডিও শেয়ারিং আ্যপ্স টিকটক বন্ধে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে আমেরিকায়। ২০২০ সালের আগস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির প্রথম মেয়াদের শেষের দিকে জাতীয় নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে নির্বাহী আদেশে টিকটক বন্ধ করার প্রাথমিক উদ্যোগ নেয় ডোনাল্ড ট্রাম্প। টিকটক মূলত চীনা মালিকানাধীন বাইট ড্যান্সের একটি প্রতিষ্ঠান। মাইক্রোসফট যেন এটিকে কিনে নেয় সেই চাপ দিলেও ব্যর্থ হয় ট্রাম্প। এক পর্যায়ে সফটওয়্যার জায়ান্ট ওরাকল মার্কিন তথ্য সুরক্ষার জন্য টিকটকের সাথে জোটভুক্ত হয়।
২০২৩ সালের মার্চে বাইডেনের শাসনামলে টিকটকের উপর চীনের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আ্যপটির বিষয়ে ব্যখ্যা দিতে মার্কিন কংগ্রেসে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহীকে তলব করা হয়। এরপরে আইনপ্রণেতারা টিকটকের নিষেধাজ্ঞার উপর অনড় অবস্থান নেয়। ২০২৪ সালের এপ্রিলে টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইট ড্যান্সকে তাদের কার্যক্রম মার্কিন কোন কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করতে বলা হয়। এ বিষয়ে সিনেটে আইন পাশ হয়। কিন্ত পরের মাসে এই আইনকে অসাংবিধানিক বলে মামলা করে বাইট ড্যান্স। সুপ্রিম কোর্ড পর্যন্ত এই মামলা গেলেও শেষ পর্যন্ত ১৭ জানুয়ারি টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়।
মার্কিন কর্মকর্তাদের অভিযোগ টিকটক আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। চীন সরকার আমেরিকার উপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে পারে বলে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে তারা। টিকটকের বিভিন্ন কন্টেন্টের মাধ্যমে আমেরিকার নাগরিকদের প্রভাবিত করা হতে পারে বলে শঙ্কা তাদের।
আমেরিকা মনে করে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি যুক্তিসঙ্গত। কারণ চীনা জাতীয় নিরাপত্তা আইন অনুসারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা গোয়েন্দাদের জন্য তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য। টিকটকও এই কাজটি করে বলে অভিযোগ আমেরিকার।
মার্কিং গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এর পরিচালক ক্রিস্টফার রে হাউজ ইন্টেলিজেন্স কমিটির সদস্যদের বলেন, চীনা সরকার সফটওয়্যারের মাধ্যমে মার্কিন ডিভাইসে প্রবেশ করে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়ার পাশাপাশি তাদের জন্য নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করতে পারেন।
রিফাত