ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১

গাজায় দিনে ৬০০ ট্রাক ত্রাণ ঢুকবে

প্রকাশিত: ২০:২৬, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

গাজায় দিনে ৬০০ ট্রাক ত্রাণ ঢুকবে

হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরুর পর গাজায় প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশ করবে। জাতিসংঘসহ একাধিক আন্তর্জাতিক মহল খাদ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের প্রস্তুতি নিচ্ছে। রবিবার মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলআত্তি এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন গাজার যুদ্ধবিরতির এই চুক্তি অনুয়ায়ী প্রতিদিন গাজায় ৬০০ ট্রাক প্রবেশের ব্যবস্থা করবে, যার মধ্যে ৫০ ট্রাকে থাকবে জ্বালানি। গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর স্বাভাবিক গতিতে সেখানে অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হবে। তবে গাজাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সময় লাগবে ৪০ বছর, আর খরচ হবে ৮০ বিলিয়ন ডলার। খবর আরব নিউজ ও আলজাজিরার।
এরইমধ্যে গাজা-মিসর সীমান্তে অপেক্ষমাণ মানবিক ত্রাণভর্তি শত শত ট্রাক। দুর্ভিক্ষ এড়াতে উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ পৌঁছানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। খাদ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। লেবাননে সফরকালে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস যুদ্ধবিরতির পর গাজায় বিনা বাধায় ত্রাণ সরবরাহের আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, প্রথম দিন থেকেই আমি গাজায় যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং মানবিক সাহায্যের প্রবেশাধিকার নিয়ে কাজ করছি। আমার বিশ্বাস, আমরা এই তিনটি উদ্দেশে অগ্রগতি দেখতে পাব। আর কোনো সংঘর্ষ হবে না, সাহায্য সহজে প্রবেশ করবে এবং জিম্মিদের মুক্তি শুরু হবে। এদিকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফিলিস্তিনের সরকারি জোট গাজা উপত্যকার পূর্ণ দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন। দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং পিএ জোটের শীর্ষ নেতা মাহমুদ আব্বাসের দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, গাজা উপত্যকার পূর্ণ দায়দায়িত্ব নিতে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করেছে ফিলিস্তিনের সরকার। এ দায়িত্ব পালনের জন্য যেসব প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা দল প্রয়োজন, সেসব কাজও শেষ হয়েছে। ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ১৫ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধ ছিটমহলটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। দালানকোঠাগুলো এখন ধ্বংসাবশেষের ঢিবিতে পরিণত হয়েছে। বড় বড় রাস্তা, পানি ও বিদ্যুতের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। বেশিরভাগ হাসপাতাল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরই কেবল ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ পরিমাণ জানা যাবে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে গেছে ইসরাইল। ইসরাইলের নির্বিচার হামলা থেকে বাদ যায়নি ২৩ লাখ বাসিন্দার এই উপত্যকার মসজিদ, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন, এমনকি শরণার্থী শিবিরও। ইসরাইলি আগ্রাসনে ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ইসরাইলি নির্বিচার হামলা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।

×