ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের সর্বাধিক চিনি রপ্তানিকারক দেশ লাতিন আমেরিকার ব্রাজিল। এর পরেই অবস্থান ভারতের। ভারত প্রধানত বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে চিনি রপ্তানি করে থাকে। তবে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর পর্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন এই পণ্যটির রপ্তানি বন্ধ রেখেছিল দেশটি।
রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় বাজারে চিনির দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, যার ফলে উৎপাদনকারীরা তাদের পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং বাজারে চিনির দাম বাড়ানোর জন্য ভারত আবারও চিনি রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে।
গত কয়েকদিন সপ্তাহ ধরেই বিষয়টি চিন্তাভাবনা করছিল সংশ্লিষ্টরা। তবে স্থানীয় চিনি ব্যবসায়ীরা এমন আসন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে অবাক হয়েছেন। কারণ গত ৮ বছরের মধ্যে এবারই প্রথমবার চাহিদার তুলনায় চিনি কম উৎপাদন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতে যে চিনি উৎপাদন হয় তার ৮০ শতাংশই আসে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে। আখের জমি কমে যাওয়ায় এ বছর উৎপাদন ২৭ মিলিয়ন টনে নেমে আসতে পারে বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের। যেখানে চাহিদার পরিমাণই আছে ২৯ মিলিয়ন টন।
তবে ভারতের চিনি ও বায়ো-এনার্জি উৎপাদনকারী অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক দীপক বাল্লানি বলেছেন, “আগামী বছর উৎপাদন আরও বেশি হতে পারে। ফলে ১ মিলিয়ন টন চিনি রপ্তানি করার বিষয়টি এই শিল্পের জন্য ভালো খবর।” চিনি রপ্তানি করলে স্থানীয় বাজারে এটির মূল্য বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করে সংস্থাটি।
সূত্র: রয়টার্স
রাসেল