ছবি : সংগৃহীত
ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ ২০ জানুয়ারি ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। অভিষেক অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, প্রযুক্তি জগতের বড় বড় নাম, ব্যবসায়িক নেতা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজকদের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, মেটা প্ল্যাটফর্মসের সিইও মার্ক জাকারবার্গ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও, ওপেনএআই-এর সিইও স্যাম অল্টম্যানের যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওপেনএআই-এর প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ব্রকম্যান এবং চিফ প্রোডাক্ট অফিসার কেভিন ওয়েলও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে এক সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন।
গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন মার-আ-লাগোতে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানা গেলেও গুগলের তরফে এখনো কোনো নিশ্চিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
উবারের সিইও দারা খোসরোশাহি অভিষেক অনুষ্ঠান সংক্রান্ত কিছু পার্টিতে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে উবার। প্রতিষ্ঠানটি এক যৌথ পার্টির আয়োজন করবে, যেখানে এলন মাস্কের সোশ্যাল মিডিয়া ফার্ম ‘এক্স’ এবং মিডিয়া কোম্পানি ‘দ্য ফ্রি প্রেস’ অংশ নেবে। কয়েনবেসের সিইও ব্রায়ান আর্মস্ট্রংও অনুষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রমে আমন্ত্রিত হয়েছেন।
প্রথম মেয়াদে প্রযুক্তি দুনিয়ার সঙ্গে নানা ইস্যুতে সংঘাতে জড়ালেও, সম্প্রতি ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করেছে মেটা এবং অ্যামাজন। তারা অভিষেক তহবিলে ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে। মেটার সিইও জাকারবার্গ এবং অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস মার-আ-লাগোতে ট্রাম্পের সঙ্গে ডিনারে অংশ নেন। ওপেনএআই-এর স্যাম অল্টম্যানও ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন।
বিশ্ব নেতাদের আমন্ত্রণ: প্রধানমন্ত্রী মোদী যাচ্ছেন?
প্রথা ভেঙে, ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বের বিভিন্ন নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অংশগ্রহণ সম্পর্কে এখনও কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
ভারত থেকে কারা যাচ্ছেন? ভারতের তরফে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। ভারতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জয়শঙ্কর অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিদেশমন্ত্রী তার সফরে নতুন প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং অনুষ্ঠানে আসা অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।”
গত মাসে জয়শঙ্কর বলেছিলেন, “ট্রাম্পের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ভারত সম্পর্কে ইতিবাচক এবং আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার সুযোগ পাব।”
মারিয়া