ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১

বন্দুকধারীর আত্মহত্যা

ইরানে দুই বিচারককে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত: ২১:১৪, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

ইরানে দুই বিচারককে গুলি করে হত্যা

ইরানের রাজধানী তেহরানে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এক বন্দুকধারীর গুলিতে দুই বিচারক নিহত হন। এ ঘটনায় আরও এক বিচারক আহত হয়েছেন। সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, শনিবার সকালে তেহরানে সুপ্রিম কোর্ট সদর দপ্তরের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলার পর বন্দুকধারীও আত্মহত্যা করেন। খবর ইরনার। ইরানের বিচার বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সকালে সুপ্রিম কোর্টে একজন সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী জাতীয় নিরাপত্তা, গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দীর্ঘ ইতিহাস থাকা দুই সাহসী বিচারককে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের ৩৯ নম্বর শাখার প্রধান হোজ্জাতুলইসলাম আলী রাজিনি এবং ৫৩ নম্বর শাখার প্রধান হোজ্জাতোলেসলাম মোহাম্মদ মোকিসেহকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর বিচার বিভাগ জানিয়েছে, সশস্ত্র হামলাকারী সুপ্রিম কোর্টে কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি বা তার বিরুদ্ধে আদালতে কোনো মামলাও ছিল না। ৭১ বছর বয়সি আলী রাজিনিকে এর আগে ১৯৯৮ সালের জানুয়ারিতে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তবে সেই যাত্রায় তিনি বেঁচে যান। একাধিক মোটরসাইকেল আরোহী তার গাড়িতে একটি চৌম্বকীয় বোমা লাগিয়ে দেয়। হামলায় তিনি আহত হয়েছিলেন। হামলার পর বিচারকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাদের কাছে কীভাবে হামলাকারী পৌঁছাল সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ। দেশটির বিচার বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে এক সশস্ত্র হামলাকারী। আদালতের বাইরে বিচারকদের হত্যার পর সে নিজেকে হত্যা করে। এ দুই বিচারক জাতীয় নিরাপত্তা অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ এবং গুপ্তচরবৃত্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন।
তারা দুজন ছিলেন অভিজ্ঞ এবং সাহসী। বিবৃতিতে বিচার বিভাগ আরও বলেছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে সুপ্রিম কোর্টে হামলাকারীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। এ ছাড়া আদালতে ভিজিটর হিসেবেও যায়নি। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হামলাকারীর কোনো মামলার বিচার এই দুই বিচারপতির আদালতে ছিল না এবং তিনি তাদের শাখার কোনো মক্কেলও ছিলেন না। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলার পরপরই বন্দুকধারী নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। এদিকে এ হামলার ঘটনায় আরও একজন বিচারক এবং একজন দেহরক্ষী আহত হয়েছেন বলে মেহের নিউজের প্রতিবেদনে জানা গেছে।
আহত বিচারক এবং তার দেহরক্ষীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার মূল সন্দেহভাজন বন্দুকধারী ঘটনার পরপরই আত্মহত্যা করলেও, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য অপরাধীদের শনাক্ত ও আটক করার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী বন্দুকধারীর সন্দেহভাজন সহযোগীদের শনাক্ত করতে এবং ঘটনার পুরো পরিকল্পনার পেছনে থাকা শক্তিগুলোকে খুঁজে বের করতে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে।

×