ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১

ভারতের সাথে সৌদির সম্পর্কের নতুন মোড়!

প্রকাশিত: ১৫:১৪, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

ভারতের সাথে সৌদির সম্পর্কের নতুন মোড়!

ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরব ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রতি বিভিন্ন নতুন সিদ্ধান্তের কারণে নতুন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সৌদি আরব একদিকে ভারতীয় শ্রমিকদের জন্য কাজের ভিসা পেতে নতুন ও কঠোর নিয়ম চালু করেছে, অন্যদিকে ২০২৫ সালের হজ চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে তীর্থযাত্রার ব্যবস্থাপনা উন্নত করার উদ্যোগ নিয়েছে। এই দুই সিদ্ধান্ত একইসঙ্গে ভারত-সৌদি সম্পর্কের উপর জটিল প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কাজের ভিসায় নতুন বিধি
১৪ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে সৌদি আরবে কাজের ভিসার জন্য ভারতীয় শ্রমিকদের পেশাগত ও শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রাক-যাচাইকরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সৌদি মিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "কাজের ভিসা প্রদানের জন্য পেশাগত যাচাইকরণ বাধ্যতামূলক শর্তে পরিণত হবে।"

এই নিয়মের লক্ষ্য সৌদি শ্রমবাজারে দক্ষতার মান নিশ্চিত করা এবং প্রশিক্ষণের মানোন্নয়ন করা। তবে, অনেক ভারতীয় আবেদনকারী এই প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন, বিশেষত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর অবস্থান ও সীমাবদ্ধতার কারণে।

দক্ষিণ ভারতের আবেদনকারীদের জন্য রাজস্থানের আজমের ও সিকার শহরের কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছানো কঠিন, যা এই প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করছে।

হজ চুক্তি: অন্য এক দিক
অন্যদিকে, ভারত ও সৌদি আরব সম্প্রতি ২০২৫ সালের হজের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যেখানে ১,৭৫,০২৫ জন ভারতীয় তীর্থযাত্রীর কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই চুক্তিকে "অসাধারণ খবর" বলে অভিহিত করেছেন এবং তীর্থযাত্রীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে তার সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দুই সিদ্ধান্ত ভারত-সৌদি সম্পর্কের দ্বৈত প্রকৃতি তুলে ধরছে। একদিকে সৌদি আরব দক্ষ কর্মী নিশ্চিত করতে কড়াকড়ি আরোপ করছে, যা ভারতীয় শ্রমিকদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। অন্যদিকে, হজ চুক্তি দুই দেশের মধ্যে ধর্মীয় সহযোগিতার প্রতীক হিসেবে কাজ করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সৌদি আরবের ২০৩০ ভিশনের আওতায় শ্রমবাজারকে উন্নত করার লক্ষ্যে এই কড়াকড়ি চালু করা হয়েছে। তবে, এটি ভারতীয় শ্রমিকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া জটিল করে তুলেছে।

অন্যদিকে, হজ চুক্তি নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া থাকলেও, ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে যে, ভিসা কড়াকড়ি বা অন্যান্য বিধিনিষেধ ধর্মীয় তীর্থযাত্রার ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে।

সূত্র: ইকোনমিকস টাইমস

নাহিদা

×