গাজায় দীর্ঘ দিনের সহিংসতা এবং ধ্বংসযজ্ঞের পর, যুদ্ধবিরতির কার্যকর হওয়ার আর মাত্র ২৪ ঘণ্টা বাকি। ফিলিস্তিনিরা এই যুদ্ধবিরতিকে তাদের জন্য আশার একটি নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখছে। তবে কাতার ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক হাসান বারারি সতর্ক করেছেন যে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বোমাবর্ষণ চালিয়ে যেতে পারে।
বারারি আল জাজিরাকে বলেছেন, "আমরা অতীতেও এমন ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি। ইসরায়েলি সরকারের একটি অংশ মনে করে যে ফিলিস্তিনিদের শাস্তি দেওয়া উচিত। তাদের এই মনোভাবই সহিংসতাকে দীর্ঘায়িত করছে।"
এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি একাধিক মধ্যস্থতাকারী দেশের চেষ্টার ফল। এই চুক্তি অনুযায়ী, গাজার ওপর ইসরায়েলের আক্রমণ বন্ধ হবে, এবং বিনিময়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হবে, যেমন হুমানিটারিয়ান সহায়তা প্রদান এবং যুদ্ধবন্দি বিনিময়। তবে এটি কার্যকর হতে হলে দুই পক্ষকেই কঠোরভাবে চুক্তি মেনে চলতে হবে।
বারারি আরও মনে করেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর অন্তত প্রথম সপ্তাহে পরিস্থিতি মসৃণ থাকবে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি নষ্ট করে তাৎক্ষণিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগকে ব্যর্থ করতে চাইবেন না। ট্রাম্প এই চুক্তিকে তার কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে তুলে ধরেছেন এবং সোমবার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
যদিও যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা শান্তির একটি ঝলক নিয়ে এসেছে, বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে এটি দীর্ঘস্থায়ী না-ও হতে পারে। ফিলিস্তিনিদের জন্য এটি একটি সাময়িক বিরতি হতে পারে, কিন্তু গাজার অবকাঠামো পুনর্গঠন এবং তাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র:আল-জাজিরা
আফরোজা