ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১

পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ কি অচিরেই?

প্রকাশিত: ২১:০২, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২১:০৩, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ কি অচিরেই?

ছবি: সংগৃহীত।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক এবং তাদের মধ্যে যুদ্ধের ইতিহাস নতুন কিছু নয়। তবে এবার ভারতীয় সেনাপ্রধানের একটি মন্তব্য নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, ‘‘এবার আর নয়’’। কিন্তু আসল ঘটনা কী?

পাকিস্তান সেনাবাহিনী আবারও ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিস্ফোরক বিবৃতিতে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দিবেদির চরম দ্বিচারিতার নিন্দা করেছে। পাকিস্তানের দাবি, ভারত তাঁর রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, ভারতীয় সেনাপ্রধানের এই মন্তব্যটি ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যমূলক। এটি ভারতীয় সরকারের নিজস্ব ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।

তবে প্রশ্ন উঠছে, ভারত কেন এমন অভিযোগ করছে? তাদের আসল উদ্দেশ্য কী?

ভারতীয় সেনাপ্রধান দাবি করেছেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল। তিনি বলেন, অবৈধভাবে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে সহিংসতা পাকিস্তান থেকে পরিচালিত হচ্ছে। আরও চমকপ্রদ দাবি করে তিনি জানান, গত বছর নিহত সন্ত্রাসীদের ৬০% পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত।

এদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের এসব বক্তব্যকে মিথ্যা দাবি করে, বলে যাচ্ছে যে, ভারতীয় সেনাপ্রধান নিজের দেশের ব্যর্থতা ঢাকতেই এমন মন্তব্য করেছেন। পাকিস্তান আরও বলেছে, এই মন্তব্য কেবল মিথ্যাই নয়, বরং ভারত কাশ্মীরে চলমান দমন-পীড়নের ওপর থেকে দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা করছে।

পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতের উচিত আত্মসমালোচনা করা। কাশ্মীরের নিরীহ মানুষদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে সমর্থন করা যাবে না।

পাকিস্তানের আইএসপিআর ভারতীয় সেনাপ্রধানের এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিতর্কিত অঞ্চল। এর চূড়ান্ত মর্যাদা নির্ধারিত হবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব এবং কাশ্মীরি জনগণের ইচ্ছার ভিত্তিতে।’’

এই পরিস্থিতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দেয় না? পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারতীয় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বকে ভদ্রতা, পেশাদারিত্ব এবং রাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রের আচরণের নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।

এ সংঘাত কি কখনো শেষ হবে না? ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের এই টানা-পড়েন কেবল দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষমতার লড়াই, নাকি বৃহত্তর এশিয়ার ক্ষমতার লড়াই?

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=gbCjCtqtg_E

নুসরাত

×