ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১

একজোট হয়ে সংঘাতে ঘি ঢালছে চীন-ভারত!

প্রকাশিত: ২০:৫৪, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২০:৫৭, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

একজোট হয়ে সংঘাতে ঘি ঢালছে চীন-ভারত!

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারে সামরিক জান্তা সরকারের ক্রমাগত চাপে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক মানচিত্রে বড় ধরনের পরিবর্তনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, জান্তা সরকারের পতন চীন ও ভারতের স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় দুই দেশই বিভিন্নভাবে সামরিক সহায়তা দিয়ে জান্তা সরকারের ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে।

জান্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। বিদ্রোহীরা ইতোমধ্যে জান্তা সরকারের পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, যা মিয়ানমারের সামরিক শক্তির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি।

এই অঞ্চলে জান্তার অস্ত্র কারখানাগুলোরও দখল নিয়েছে তারা। এর আগে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডও বিদ্রোহীদের হাতে চলে যায়।

বিদ্রোহীদের ক্রমবর্ধমান শক্তি জান্তা সরকারের অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলেছে। তবে চীন ও ভারত উভয়ই তাদের নিজ নিজ কৌশলগত প্রকল্প রক্ষায় জান্তা সরকারকে অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। চীন রাখাইনের গভীর সমুদ্রবন্দর এবং অর্থনৈতিক করিডোরকে সামনে রেখে জান্তার পাশে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে ভারতও রাখাইনের সিতওয়ে বন্দর ও কালাদান মাল্টিমোডাল প্রকল্পের নিরাপত্তার জন্য জান্তার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে ভারত জান্তা সরকারকে প্রায় ৫ কোটি ডলারের অস্ত্র সরবরাহ করেছে। একইভাবে চীনও জান্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার নামে চীন ও ভারতের এই সহযোগিতা মিয়ানমারের সংঘাত আরও জটিল করে তুলছে।

এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ ভূরাজনীতি কোথায় গড়াবে, তা নিয়ে সংশয় বেড়েই চলেছে।

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/MRorZ3AOF2M?si=VKjc7XLkT-xeA0CL

এম.কে.

×