ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১

ভারতে নৌবাহিনী ও মোদির জন্য বিরাট দুঃসংবাদ

প্রকাশিত: ১১:২৭, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

ভারতে নৌবাহিনী ও মোদির জন্য বিরাট দুঃসংবাদ

ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় প্রতিরক্ষার ইতিহাসে ঘটলো এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। গুজরাটের পোরবন্দর উপকূলে আকাশে উড়তেই ভেঙে পড়লো আদানির ডিফেন্স এন্ড এরোস্পেসের তৈরি দৃষ্টি-১০ স্টারলাইনার ড্রোন। যদিও ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত অত্যাধুনিক ড্রোনটির প্রতি প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী। কিন্তু পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে ঘটে গেল বিপর্যয়।

আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস দ্বারা নির্মিত দৃষ্টি-১০ স্টারলাইনার ড্রোন গুজরাটের পোরবন্দর উপকূলে বিধ্বস্ত হয়েছে। এটি নৌবাহিনীতে সরবরাহের আগে পরীক্ষার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়, এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

মিডিয়াম অল্টিটিউড লং এন্ডিউরেন্স এই ড্রোন ইতোমধ্যেই নৌবাহিনীতে ব্যবহার করা হচ্ছে। নৌবাহিনী গত বছর একটি ড্রোন গ্রহণ করে এবং নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনী তাদের গোয়েন্দা, নজরদারি এবং পর্যবেক্ষণ সক্ষমতা বাড়াতে জরুরি আর্থিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে দুটি করে ড্রোন অর্ডার করে।

বিধ্বস্ত ড্রোনটি নির্মাতা কোম্পানির পরিচালনায় ছিল এবং এটি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিটি ড্রোনের দাম প্রায় ১৪৫ কোটি রুপি।

দৃষ্টি-১০ স্টারলাইনার ড্রোনটি আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস হায়দ্রাবাদ কারখানায় তৈরি করেছে, যেখানে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা সংস্থা এলবিট সিস্টেমস থেকে প্রযুক্তি স্থানান্তর করা হয়েছে। এটি আদানি দ্বারা ভারতীয় সামরিক বাহিনীতে সরবরাহকৃত প্রথম বড় প্রতিরক্ষা প্ল্যাটফর্ম এবং এলবিট সিস্টেমসের হার্মিস ৯০০ স্টারলাইনার ড্রোনের একটি পরিবর্তিত সংস্করণ।

সব আবহাওয়ার উপযোগী এই ড্রোনটি ৭০% স্বদেশি প্রযুক্তিতে তৈরি, এর টানা ৩৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষমতা রয়েছে এবং এটি ৪৫০ কেজি ওজনের কার্গো বহন করতে পারে। ড্রোনটির তিনটি হার্ড পয়েন্ট রয়েছে এবং প্রয়োজনে এটি অস্ত্র সজ্জিত করা যেতে পারে।

এর ৪ মাস আগে, বঙ্গোপসাগরে টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয় এমকিউ ৯-বি সি গার্ডিয়ান ড্রোন, যা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতীয় নৌবাহিনী লিজ নিয়েছিল।

নৌবাহিনী চার বছর আগে দুটি এমকিউ ৯-বি ড্রোন লিজ নিয়েছিল ভারত মহাসাগর অঞ্চলে সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য। গত বছর, ভারত ৩১টি এমকিউ ৯-বি ড্রোন কেনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে $৩.৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই করে, যা মূলত চীনকে কেন্দ্র করে প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি জোরদার করার জন্য।

সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস

নাহিদা

×