ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১

আরো দৃঢ় হচ্ছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক

প্রকাশিত: ১৪:৩৫, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫

আরো দৃঢ় হচ্ছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের বুরো অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড সিকিউরিটি (BIS) সম্প্রতি তিনটি ভারতীয় সংস্থাকে তাদের 'এন্টিটি লিস্ট' থেকে বাদ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। একইসঙ্গে, চীনের ১১টি সংস্থাকে এই তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, চীনের সামরিক আধুনিকায়নে সহায়তার জন্য এটি একটি কঠোর বার্তা।

কেন এই সিদ্ধান্ত?
বিআইএসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, নতুন সংস্থাগুলোকে এই তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে কারণ তাদের কার্যকলাপ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা এবং বৈদেশিক নীতির স্বার্থের পরিপন্থী।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ভারতীয় সংস্থাগুলোর নাম বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত একটি আন্তঃসংস্থা পর্যালোচনার মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে। তালিকা থেকে বাদ দেওয়া ভারতীয় সংস্থাগুলো হলো:

ইন্ডিয়ান রেয়ার আর্থস
ইন্দিরা গান্ধী অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার (IGCAR)
ভাভা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার (BARC)
BIS-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, এই তিনটি ভারতীয় সংস্থাকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যাতে উন্নত শক্তি সহযোগিতা, যৌথ গবেষণা, এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়।

BIS-এর ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড সিকিউরিটির আন্ডার সেক্রেটারি অ্যালান এফ এস্টেভেজ বলেছেন, “এই পদক্ষেপগুলো দেখায় যে, এন্টিটি লিস্ট একটি শক্তিশালী হাতিয়ার যা জাতীয় নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক সহযোগিতা উন্নত করতে ব্যবহার করা হয়। চীনের সামরিক আধুনিকায়নে সহায়তার জন্য শাস্তি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য পুরস্কারের বার্তা এতে স্পষ্ট।”

বিআইএস আরও জানিয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক সহযোগিতা এবং গবেষণা কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। গত কয়েক বছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যে সহযোগিতা হয়েছে, তা উভয় দেশের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোকেও উপকৃত করেছে।”

এন্টিটি লিস্ট কী?
বিআইএসের এন্টিটি লিস্টে এমন কিছু বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যাদের কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বা বৈদেশিক নীতির জন্য হুমকি। এই তালিকায় থাকা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানদের জন্য রপ্তানি, পুনঃরপ্তানি বা স্থানীয় লেনদেনে বিশেষ লাইসেন্স প্রয়োজন হয়।

তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া মানে লেনদেন নিষিদ্ধ নয়, তবে কঠোর লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া লেনদেনকে জটিল করে তোলে।

এই পদক্ষেপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো, শক্তি সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাধা দূর করা এবং ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

নাহিদা

×