সূত্র: সংগৃহীত
তানজানিয়ার উত্তর-পশ্চিমের কাগেরা অঞ্চলের দুটি জেলায় মারবার্গ ভাইরাসের সন্দেহজনক প্রাদুর্ভাবে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
মঙ্গলবার ডব্লিউএইচও এক বিবৃতিতে জানায়, এখন পর্যন্ত ৯টি সন্দেহজনক মামলার খবর পাওয়া গেছে। সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেন, “রোগ নজরদারি বাড়লে আমরা আগামী কয়েকদিনে আরও মামলার প্রত্যাশা করছি।”
দুই রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে তানজানিয়ার জাতীয় পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়েছে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের, যার মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীরাও রয়েছেন, শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে।
ডব্লিউএইচও সতর্ক করে বলেছে, কাগেরা অঞ্চল একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট হাব হওয়ায় তানজানিয়া এবং আশপাশের দেশগুলোতে (যেমন রুয়ান্ডা, উগান্ডা, বুরুন্ডি, এবং কঙ্গো) এই ভাইরাসের বিস্তারের ঝুঁকি “উচ্চ”। তবে বিশ্বব্যাপী ঝুঁকি আপাতত “নিম্ন” বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই ঘোষণা এমন সময় এলো, যখন কয়েক সপ্তাহ আগে রুয়ান্ডায় মারবার্গ ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছিল। সেখানে অন্তত ৬৬ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং ১৫ জন মারা গিয়েছিলেন।
মারবার্গ ভাইরাস একটি ভাইরাল হেমোরেজিক ফিভার, যা ইবোলার ভাইরাস পরিবারের অংশ। এর মৃত্যুর হার ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। এই ভাইরাস সাধারণত বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায় এবং আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত বা শরীরের তরল পদার্থের মাধ্যমে অন্যদের মধ্যে সংক্রমিত হয়। এমনকি দূষিত বিছানা বা কাপড় থেকেও এটি ছড়াতে পারে।
বর্তমানে মারবার্গ ভাইরাসের জন্য কোনো অনুমোদিত ভ্যাকসিন বা চিকিৎসা নেই।
সূত্র: আল জাজিরা
নাহিদা