ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

হাসিনার পতন আগে থেকেই টের পেয়েছিল চীন?

প্রকাশিত: ১২:১৮, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১২:২১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

হাসিনার পতন আগে থেকেই টের পেয়েছিল চীন?

ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের কথা চীন আগেই জানতো—এমনটাই বলছেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা দাবি করছেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চীন বেশ অনড় অবস্থান নিয়েছে এবং বেশিরভাগ সময় নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করেছে।

চীন জানিয়েছে, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতির উপর তারা নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। চীন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছে।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর, একাধিক দেশ তাদের অভিনন্দন জানালেও চীন ছিল তাদের মধ্যে প্রথম। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের অভিনন্দন বার্তা, নির্বাচনের পরদিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর বিকালেই ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন চীনা রাষ্ট্রদূত গণভবনে পৌঁছে দিয়েছিলেন।

এর আগে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর চীন বাংলাদেশের সঙ্গে বড় আকারের ঋণদান এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে যুক্ত হয়েছিল। ২০১৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চীন নিয়মিত ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ ছাড়ের কথা জানিয়েছিল। তবে, ২০২৩ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত চীন সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে কোনো বড় পরিকাঠামোগত ঋণচুক্তি বা অর্থ ছাড়ের ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, শেখ হাসিনার টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর চীন সম্ভবত সরকারের ভঙ্গুরতা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সম্পর্কে পূর্বাভাস পেয়েছিল। এর কারণেই, ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর চীন সফরে গিয়ে বড় কোনো ঋণ চুক্তি কিংবা পরিকাঠামো খাতে আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করতে দেখা যায়নি। এমনকি, নির্ধারিত সফরের শেষের আগেই শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন।

চীনের এই স্থিতিশীল এবং নিরপেক্ষ অবস্থান অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

নুসরাত

×