পরমাণু প্ল্যান্ট
পশ্চিমাদের সবচেয়ে বড় মাথা ব্যথার কারণ ইরানের পরমাণু কর্মসূচি। গেল বছর ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর অনেকবারই ইস্যুটি হয়েছে খবরের শিরোনাম। উল্টোদিকে ইসরাইলের কাছে পরমাণু অস্ত্র থাকার পরেও কখনো বিষয়টি স্বীকার করেনি দেশটি।
ফলে মধ্যেপ্রাচ্যে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে তেহরানকে সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন তেল আবিব। তাই আলী খামেনেয়ী প্রশাসনের হাতে পরমাণু অস্ত্র চলে আসার অর্থে ইসরাইলীদের অস্তিত্বের সংকট তৈরি হওয়া।
১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ইরানে উপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পশ্চিমারা। ৪৫ বছর ধরে কার্যত এখন তেহরান। তাই স্বভাবতই প্রশ্ন চলে আসে। মুসলিম এই দেশেটির পরমাণুর প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে কোন দেশ। অনেকেই মনে উত্তর হিসেবে নিচ্ছেন রাশিয়া, উত্তর কুরিয়া, পাকিস্তান ও চীনের নাম। তবে বিস্ময়কর হলেও সত্য যে ইরানে প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে খোদ যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৫০ দশকে যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ তখন তুঙ্গে। সে সময় তেহরানকে হাতে রাখতে রেজাশাহ প্রশাসনকে পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করতে সাহায্য করে ওয়াসিংটন। অ্যাটাম ফর পিস প্রকল্পের যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে সরবরাহ করে পরমাণু প্রযুক্তি নিউক্লিয়ার ফুয়েল সরঞ্জাম প্রশিক্ষণ। ১৯৬৭ সালে তেহরানে পাঠানো হয় ৫ ম্যাগাওয়াটের রিচার্জ রিএ্যাক্টর। যা পরিপূর্ণ ছিল উচ্চ মাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামে।
তবে ১৯৭৯ সালে ইসলামীক বিপ্লবের পর বন্ধ হয় যুক্তরাষ্ট্রের এই সাহায্য। তবে শুধু যুক্তরাষ্ট্রওই নয়। নাটের গুরু হিসাবে রয়েছে ফ্র্যান্স ও জার্মানীর নামও। ১৯৭৪ সালে প্যারিসের একটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করণ প্ল্যান্টে ‘১০০কোটি ডলার’ বিনিয়োগ করে তেহরান। বিনিময় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের ১০ শতাংশের ভাগ পায় তারা।
অন্যদিকে বোসে হার পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরিতে সাহায্য করে জার্মান প্রতিষ্ঠান ক্লাব টুয়েটভ। যা অবস্থান পারস্য সাগরের উপকূলে।
ইরানের বেশ কয়েকটি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। পাশাপাশি দেশটির ভূখন্ডে রয়ে দুাটি ইউরেনিয়াম মাইন্ড, একটি রিচার্জ রিএ্যাক্টর ও একটি রিচার্জ ইউরেনিয়াম প্রসেসিং ফেসিলিটি। যেখানে তেজস্ক্রিয় মৌলটি সমৃদ্ধ করণে কার্যক্রম চলে। খামেনি প্রশাসন এখনো নিউক্লিয়ার ওয়েপন করতে না পারলেও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি লংঘন করে গোপনে পরমাণু কার্যক্রম চালানো দেশটির ইতিহাস রয়েছে।
তবে পরমাণুকে সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে না। ফলে আশ্বস্ত করে ইরান। দেশটির বেসামরিক নিউক্লিয়ার এনার্জি প্রোগ্রাম কমপক্ষে ৫০ বছর পুরনো। কোনো ইচ্ছাই নেই খামেনি প্রশাসনের এমনটাই দাবি সরকারের
শহীদ