ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

এক মিসাইলেই পৃথিবী ধ্বংস!

প্রকাশিত: ০২:১৪, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

এক মিসাইলেই পৃথিবী ধ্বংস!

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বে প্রতিটি দেশই নিজেদের সামরিক শক্তি প্রদর্শনের জন্য উন্নত অস্ত্র তৈরি করছে, তবে মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বিধ্বংসী ও বিপজ্জনক অস্ত্র হিসেবে পরিচিত আইসিবিএম (ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল)। এই মিসাইল একাই পৃথিবী ধ্বংস করতে সক্ষম। কিন্তু কী এই আইসিবিএম এবং এটি কীভাবে কাজ করে?

আইসিবিএম আধুনিক সামরিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি। এর বৈশিষ্ট্য হলো গতি, পরিসীমা ও নির্ভুলতা। এটি হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে দ্রুত আঘাত হানতে সক্ষম। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে এটি পৃথিবীর যে কোনো স্থানে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে পারে, যা এটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর অস্ত্র করে তুলেছে।

আইসিবিএম, যেগুলো পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম, আকাশপথে শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে থাকে। এর গতি এত বেশি যে শত্রুপক্ষ প্রতিরোধের কোনো সুযোগ পায় না। তবে, প্রশ্ন উঠছে—যদি ইরান বা হুতি বিদ্রোহীরা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, পৃথিবী কেন টিকে থাকে? কারণ, তারা সাধারণ ব্যালেস্টিক মিসাইল ব্যবহার করে, যা পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করে না এবং সাধারণত ভূপৃষ্ঠ থেকে ছোড়া হয়।

এদিকে, আইসিবিএম কেবল নয়টি দেশের কাছে রয়েছে, যার মধ্যে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স, ভারত, ইসরাইল, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান এবং যুক্তরাজ্য অন্তর্ভুক্ত। রাশিয়ার তৈরি আরএস 28 সারমাট, বা 'স্যাটান টু', এই অস্ত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে পরিচিত।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পারমাণবিক বোমার ভয়াবহতা দেখেছিল পুরো বিশ্ব, কিন্তু আইসিবিএম তার চেয়েও কয়েকশো গুণ বেশি শক্তিশালী। একটি আইসিবিএম একবার ছোড়া হলে, বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিও একইভাবে আইসিবিএম নিক্ষেপ করতে বাধ্য হবে, যার ফলে পৃথিবী একটি বিশাল বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

এভাবে, আইসিবিএম পৃথিবী ধ্বংসের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। মানবজাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, এই অস্ত্রের ব্যবহারের কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হয়।

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/6IRlsiQytYY?si=VU3MDvAhO7Yl8v30

এম.কে.

×