.
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে চূড়ান্ত ভাষণ দিয়েছেন। মঙ্গলবার তিনি এই ভাষণ দেন। মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক দিন আগে ভাষণ দিলেন বাইডেন। এ সময় প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তার প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির পক্ষে বক্তব্য দেন বাইডেন। তিনি বলেন, আমরা একটি জটিল সময়ে এসে দাঁড়িয়েছি। স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী যুগ শেষ। একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। এই চার বছরে আমরা এমন সংকটের মুখোমুখি হয়েছি যার পরীক্ষিত অভিজ্ঞতা আমাদের হয়েছে। আমার মতে, আমরা শক্তিমত্তার সঙ্গে সেই পরীক্ষাগুলো পার হয়ে এসেছি। খবর আলজাজিরার।
স্টেট ডিপার্টমেন্টে দেওয়া ভাষণটি বাইডেনের চার বছরের দায়িত্বে থাকাকালীন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিশ্ব মঞ্চে মার্কিন নেতৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার কেন্দ্রিক একটি বৈদেশিক নীতি অনুসরণ এবং জোট গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলে জানান। তবে সমালোচকরা কয়েকটি ক্ষেত্রে বাইডেনের প্রশাসনকে দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বিশেষ করে গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধে মার্কিন সমর্থন দেওয়ায় বাইডেন প্রশাসন সমালোচিত হয়েছে সবসময়। তবুও বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার ভাষণে বলতে চেয়েছেন যে, হোয়াইট হাউসে তার প্রবেশের আগের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র এখন আরও শক্তিশালী এবং তার শত্রুরা দুর্বল।
বাইডেন আরও বলেন, আগামী দিনগুলোতে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দেবে। কিন্তু তবুও এটা স্পষ্ট যে আমার প্রশাসন পরবর্তী প্রশাসনের হাতে একটি শক্তিশালী যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যাচ্ছে। আমরা তাদের জন্য এমন একটি আমেরিকা রেখে যাচ্ছি যেখানে আরও অনেক নতুন বন্ধু এবং শক্তিশালী জোট থাকবে। যার প্রতিপক্ষরা দুর্বল এবং চাপের মধ্যে থাকবে। এমন একটি আমেরিকা যারা আবারও নেতৃত্ব দিচ্ছে, দেশগুলোকে একত্রিত করছে। এজেন্ডা নির্ধারণ করছে। আমাদের পরিকল্পনা এবং দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে অন্যদের একত্রিত করছে। এদিকে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাত্র এক সপ্তাহ আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে ভাষণ দিতে যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাকে দেখে যুদ্ধাপরাধী স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। রক্ত সদৃশ তরল পদার্থ ঢেলে তারা বলেন, হাজারো ফিলিস্তিনিকে হত্যার জন্য বাইডেন দায়ী। ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের মাত্র সাতদিন আগে বাইডেন তার ভাষণে এসব কথা বললেন। এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে খুব দ্রুতই দেখা করবেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।