ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক ইলন মাস্ক!

প্রকাশিত: ০২:১১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ০২:১৪, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক ইলন মাস্ক!

ছবি : সংগৃহীত

পৃথিবীতে যারা প্রথাগত নিয়মের বাইরে বা আলাদাভাবে চিন্তা করেছেন তাদের অনেক সময় পাগল বা বিপদজনক হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এই তকমা থেকে মুক্তি পাননি বর্তমান আধুনিক বিশ্বের অন্যতম রচয়িতা আলবার্ট আইনস্টাইনও। এবার সেই একইভাবে পাগল বা বিপদজনক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন ভবিষ্যৎ যুগের প্রবর্তক ইলন মাস্ক। তবে প্রশ্ন হলো কেন ইলন মাস্ককে নিয়ে এ ধরনের সমালোচনা?

টেসলা ও স্পেস এক্স এর সিইও ইলন মাস্ককে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে নেতিবাচক মতামত ব্যক্ত করেছেন তারই জীবনীকার সেথ এব্রামসন।

তিনি সতর্ক করে বলেছেন, মাস্ক গুরুতর অসুস্থ এবং তার কার্যকালাপ যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যতের জন্য বিপদজনক হতে পারে। সেথ এব্রামসন, যিনি গত দুই বছর ধরে মাস্কের আচরণ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করে বলেছেন, মাস্ক নিজেই মানসিকভাবে অসুস্থ।

অতিরিক্ত মাদক সেবন এবং চাপের মধ্যে থাকার কথাও স্বীকার করেছেন তিনি। এ কারণে এটা ভাবাই যুক্তিযুক্ত যে, তিনি গভীরভাবে অসুস্থ তিনি। এই বিষয়টি এক্স নামক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্লাটফর্মে পোস্ট করে আরো বলেন, আমেরিকাকে ইলন মাস্কের হাত থেকে রক্ষা করুন।

এব্রামসন আরো উল্লেখ করেছেন, ইলন মাস্ক মহাকাশ, গবেষণা, যানবাহন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাস সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শিল্প নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, মাস্কের এসব শিল্পে নিয়ন্ত্রণ ও সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্ক জাতির স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। 

 

তিনি বলেন, মাস্কের প্রভাব ও ক্ষমতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তার পাগলামি ও সহিংসতার উস্কানি সভ্যতার জন্য বিপদজনক হতে পারে। এব্রামসন এ বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত বর্তমান প্রশাসনকে মাস্কের সঙ্গে সরকারি চুক্তি বাতিল এবং সরকারি দায়িত্বে তার নিয়োগের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আর মাত্র ১৪ দিন তারপর বর্তমান প্রশাসন এই পদক্ষেপ নিতে পারবেন। আমেরিকাকে ইলন মাস্কের হাত থেকে রক্ষা করুন।

 

এদিকে সেথ এব্রামসনের এই সতর্কতা এক্স ব্যবহারকারীদের মধ্যে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। কিছু ব্যবহারকারী এব্রামসনের উদ্বেগের পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন এবং মাস্কের অস্থির আচরণকে সমালোচনা করেছেন।

অন্যদিকে কয়েকজন মাস্কের দৃষ্টিভঙ্গির পক্ষে কথা বলেছেন। এক এক্স ব্যবহারকারী মাস্ককে চিন্তাশীল মাদকাসক্ত খলনায়ক হিসেবেও অভিহিত করেছেন। আবার একজন ধারণা করেছেন যে, মাস্ক নিজেকে পশ্চিমা সংস্কৃতির রক্ষক হিসেবে দেখছেন।

মাস্কের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। গত বছর সান ফ্রান্সিস্কোতে এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে তিরস্কৃত হওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার খবর প্রকাশিত হয়েছিল। ওই সময় মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করে টুইটার অধিগ্রহণ করেছিলেন যা নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনা সৃষ্টি হয়েছিল। এখন সবার নজর রয়েছে ইলন মাস্ক ও তার চিন্তাধারার উপর। তবে শংকা বাড়ছে তার মানসিক অবস্থা নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে ভবিষ্যতে তার রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে। তবে কি ঘটবে তা সময়ই বলে দেবে। 

মো. মহিউদ্দিন

×