ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে ভারত ও চীন!

প্রকাশিত: ১৯:৪২, ১২ জানুয়ারি ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে ভারত ও চীন!

ছবি: সংগৃহীত

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ রাশিয়ার তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম নেফট ও সারগুটনেফটেগাজ এবং ১৮৩টি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই জাহাজগুলো রাশিয়ার তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হতো, যা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মস্কোর যুদ্ধের অর্থায়নে সহায়তা করেছে।

এর আগে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এবং ২০২২ সালে গ্রুপ অফ সেভেন (জি-৭) দেশগুলোর মূল্যসীমা আরোপের কারণে রাশিয়ার তেলের ব্যবসা ইউরোপ থেকে এশিয়ায় স্থানান্তরিত হয়। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে চীনা ও ভারতীয় শোধনাগারগুলোকে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও আমেরিকা থেকে বেশি তেল সংগ্রহ করতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার তেল রপ্তানি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চীনের শোধনাগারগুলো উৎপাদন কমাতে বাধ্য হবে বলে দুই চীনা বাণিজ্য সূত্র জানিয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা জাহাজগুলোর মধ্যে ১৪৩টি তেল ট্যাংকার রয়েছে, যা গত বছর রাশিয়ার মোট সাগরপথে রপ্তানির প্রায় ৪২% (৫৩০ মিলিয়ন ব্যারেল) তেল পরিবহন করেছিল। এর মধ্যে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ব্যারেল চীনে এবং বাকিটা ভারতে রপ্তানি করা হয়েছিল বলে জানায় কেপলার কোম্পানির প্রধান বিশ্লেষক ম্যাট রাইট।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক একজন ব্যবসায়ী জানান, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়া থেকে চীনে তেল সরবরাহ দ্রুত হ্রাস পাবে।

২০২৪ সালের প্রথম ১১ মাসে ভারতের রাশিয়ান তেল আমদানি ৪.৫% বেড়ে ১.৭৬৪ মিলিয়ন ব্যারেল দৈনিক হয়েছে, যা তাদের মোট তেল আমদানির ৩৬%। একই সময়ে চীনের আমদানি ছিল ২.১৫৯ মিলিয়ন ব্যারেল দৈনিক, যা তাদের মোট আমদানির ২০%।

নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে চীন ও ভারত মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও আমেরিকা থেকে তেল সংগ্রহের দিকে মনোযোগ দেবে। ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকান তেলের দাম বেড়েছে।

ভারতের শোধনাগার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, "আমাদের এখন মধ্যপ্রাচ্যের তেলের ওপর নির্ভর করতে হবে। সম্ভবত আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের তেলের দিকেও ঝুঁকতে হবে।"

এদিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া তাদের তেলের মূল্য ৬০ ডলারের নিচে রাখতে বাধ্য হবে, যাতে তারা পশ্চিমা বীমা কোম্পানি ও ট্যাংকার ব্যবহার করতে পারে।

চীনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত ট্যাংকারগুলো তাদের পূর্বাঞ্চলীয় বন্দরগুলোতে প্রবেশে বাধা দেওয়ায়, তারা মধ্যপ্রাচ্যের ভারী তেল ও কানাডার ট্রান্স-মাউন্টেন পাইপলাইন থেকে তেল সংগ্রহ বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।

নাহিদা

×