ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১

অভিবাসী পাচার রোধে যুক্তরাজ্যের নতুন পরিকল্পনা

প্রকাশিত: ২২:৫১, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

অভিবাসী পাচার রোধে যুক্তরাজ্যের নতুন পরিকল্পনা

ছবি সংগৃহীত

যুক্তরাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে যে, তারা দেশটির অভিবাসী পাচারের সঙ্গে জড়িত নেটওয়ার্কগুলোকে চিহ্নিত ও মোকাবিলা করতে একটি নতুন নিষেধাজ্ঞা ব্যবস্থা কার্যকর করবে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর বুধবার (১০ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতি বছর ইংলিশ চ্যানেলে অভিবাসী প্রবাহ রোধে যুক্তরাজ্য সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ নিলেও, গত বছর চ্যানেলে অভিবাসীদের অনিয়মিত আগমন আবারও বাড়তে শুরু করেছে। ২০২৪ সালে, ৩৬ হাজার ৮১৬ জন অভিবাসী যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন, যা আগের বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এক বিবৃতিতে জানান, এই নতুন ব্যবস্থা ‘অবৈধ অভিবাসন এবং পাচার রোধে লড়াইয়ের’ লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে। তিনি দাবি করেন, এই ব্যবস্থা বিশ্বের প্রথম পদক্ষেপ হবে যা অভিবাসী পাচার নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে শক্তিশালী কৌশল হিসেবে কার্যকর হবে।

এছাড়া, সরকারের পরিকল্পনায় চ্যানেলে অভিবাসী পারাপারে জড়িত ব্যক্তি এবং পাচার চক্রগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ কার্যকর হতে যাওয়া এই নতুন ব্যবস্থা মানবপাচারে জড়িত ব্যক্তিদের আর্থিক প্রবাহের উৎস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করবে।

যুক্তরাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়াতে নতুন একটি কমান্ড সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছে এবং ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছে যাতে পাচারকারীদের দ্রুত সনাক্ত করা যায়।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মানবপাচার নেটওয়ার্কগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং তিনি এসব চক্রকে “সন্ত্রাসীদের মতো” আচরণ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

আশিক

×