ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার সম্প্রতি একটি নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে, যেখানে প্যালেস্টাইন, জর্ডান, লেবানন, এবং সিরিয়ার ভূখণ্ডের অংশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই মানচিত্র নিয়ে আরব বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে।
ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রক আরবি ভাষার এক্স অ্যাকাউন্টে ‘বৃহত্তর ইজরায়েল’-এর এই বিতর্কিত মানচিত্র প্রকাশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত,কাতার, সৌদি আরব, এবং পশ্চিম এশিয়ার আন্তর্জাতিক মঞ্চ ‘আরব লিগ’ একযোগে এই পদক্ষেপের কড়া নিন্দা জানিয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে ইজরায়েল গাজার অধিকাংশ এলাকা দখল করে নেয়। এর আগে শিয়া গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ধারাবাহিক হামলার সময় দক্ষিণ লেবাননের কিছু এলাকা কব্জা করে তারা। সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের সরকার দুর্বল হয়ে পড়ার পর, গোলান মালভূমির সীমা ছাড়িয়ে সিরিয়ার আরও নতুন অঞ্চলের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী।
এই প্রেক্ষাপটে ‘বৃহত্তর ইজরায়েল’-এর মানচিত্র প্রকাশ নতুন করে পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধের আশঙ্কা উস্কে দিয়েছে।
হামাস এক টেলিগ্রাম বিবৃতিতে জানিয়েছে, "ইজরায়েলের শত্রুতামূলক নীতি এবং প্রকাশ্য উচ্চাকাঙ্ক্ষা মোকাবিলায় আরব লিগ এবং আরব ও মুসলিম দেশগুলোর শক্ত অবস্থান প্রয়োজন।"
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনেহ বলেন, "এই মানচিত্র আন্তর্জাতিক আইন ও বৈধতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।" তিনি ইজরায়েলের এ ধরনের পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেন।
নেতানিয়াহু সরকারের এই পদক্ষেপ আরব বিশ্বে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে সংহতি আরও দৃঢ় করেছে। তবে এই পরিস্থিতি পশ্চিম এশিয়ায় স্থায়ী সংঘাতের এক নতুন অধ্যায় তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আফরোজা