মার্কিন অঙ্গরাজ্য কেনার প্রস্তাব কানাডার
উল্টে গেল পাশার দান। এবারে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট খোদ ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকেই সীমান্ত ঘেঁষা কয়েকটি মার্কিন অঙ্গরাজ্য কিনে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে কানাডা। এর আগে ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য করার হুমকি দেন। তারই প্রতিক্রিয়ায় এমন মোক্ষম জবাব এলো।
কানাডার সিটিভি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির অন্টারিও প্রদেশের প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড ট্রাম্পের প্রতি ওই প্রস্তাব ছুড়ে দেন। তিনি অন্তত দুটি মার্কিন অঙ্গরাজ্য কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ফোর্ড বলেন, ধরে নেয়া যায়, ট্রাম্পের দেশ দখলের হুমকি এক ধরনের ঠাট্টা। তাকে বরং উল্টো প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে। কানাডা যদি যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য আলাস্কা আর মিনেসোটা কিনে নেয়, তবে কেমন হয়?
ট্রাম্পের ইচ্ছা মোটেই বাস্তবসম্মত নয় উল্লেখ করে অন্টারিওর প্রিমিয়ার বলেন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সীমান্তরেখা ভাগাভাগি করা দুটি দেশ। কেবল মিনেসোটার সাথেই কানাডার সীমান্তরেখা ৫৫০ মাইলের মতো দীর্ঘ।
ট্রাম্পকে বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক তিক্ত না করার ব্যাপারে সতর্কতা জানিয়ে ফোর্ড বলেন, কানাডা দৈনিক ৪ দশমিক ৩ মিলিয়ন ব্যারেল তেল রপ্তানি করে যুক্তরাষ্ট্রে। বিদ্যুৎ, জরুরি খনিজ, গাড়ি থেকে শুরু করে অনেক পণ্যই রপ্তানি করা হয়।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মিত্র এই দুই দেশের সম্পর্ক বিঘ্নিত করা কখনোই সুবিবেচনার কাজ হতে পারে না। কানাডার রপ্তানি পণ্যে বাড়তি কর আরোপ করাও ঠিক হবে না।
কানাডার সাথে সম্পর্ক তিক্ত না করে ট্রাম্পকে বরং চীন ও মেক্সিকোর ব্যাপারে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান ফোর্ড। এ দুই দেশ উত্তর অ্যামেরিকার শ্রমশক্তি ও কর্মসংস্থান ক্ষতিগ্রস্ত করছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, চীন মেক্সিকোকে সস্তায় বিভিন্ন খুচরা পণ্য দিচ্ছে, মেক্সিকো সেগুলোতে স্টিকার লাগিয়ে নিজেদের পণ্য বলে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বাজারে বিক্রি করছে। এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দেন ফোর্ড।
এর আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পরপরই সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একীভূত করার আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেন। ট্রুডোকে ব্যাঙ্গ করে তিনি লেখেন, কানাডাবাসী ট্রুডোকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে, কারণ তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এক হতে চায়।
শহীদ