উত্তর আমেরিকায় অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড
উত্তর আমেরিকায় অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিতে চান বলে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত-প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানানোর পর এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। এমনকি এই দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নিতে প্রয়োজনে সামরিক শক্তি কিংবা অর্থনৈতিক পদক্ষেপের কথাও জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোককি রাসমুসেন বলেছেন, বাসিন্দারা চাইলে গ্রিনল্যান্ড স্বাধীন হতে পারে, তারপরও এটি মার্কিন রাজ্যে পরিণত হবে না। খবর বিবিসির।
যুক্তরাষ্ট্রের গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর দ্বিতীয় বারের মতো গ্রিনল্যান্ড দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। তার আগে মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ বানানোর জন্য তিনি ডেনমার্কের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি কিংবা অর্থনৈতিক পদক্ষেপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেবেন না। একই দিনে ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত এই অঞ্চল ভ্রমণে গেছেন ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র।
এই ঘটনার পর বুধবার কোপেনহেগেনে ডেনমার্কের রাজা ফ্রেডরিকের সঙ্গে গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিউটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড গত ৬০০ বছর ধরে ডেনমার্কের অংশ। যদিও এই দ্বীপের হাজার বাসিন্দা স্বায়ত্তশাসন ভোগ করছেন। প্রধানমন্ত্রী মিউটে নেতৃত্বাধীন দ্বীপের সরকারের শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতার লক্ষ্য রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।