ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত নিযুক্তির প্রক্রিয়া থেমে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মনোনীত ডেভিড মিলি ঢাকায় আসছেন না। মার্কিন সিনেটে মনোনয়ন চূড়ান্ত না হওয়ায় তাঁকে বাংলাদেশের দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এর পরিবর্তে অভিজ্ঞ কূটনীতিক ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করবেন।
মার্কিন কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, সব ঠিক থাকলে ট্র্যাসি জ্যাকবসন আগামী সপ্তাহে ঢাকায় এসে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ইতিমধ্যে তিনি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
কেন এই পরিবর্তন?
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নিয়োগ বিলম্ব যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ নীতিতে পরিবর্তন বা কৌশলগত পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত হতে পারে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে গণতান্ত্রিক উত্তরণ এবং সংস্কার প্রক্রিয়ার দিকে নজর রাখার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এছাড়া, যেহেতু বাইডেন সরকার ক্ষমতায় থাকছে না এবং রিপাবলিকান সরকার ক্ষমতায় আসছে, তাই বাইডেনের মনোনীত প্রার্থী ডেভিড মিলি বাংলাদেশে আসবেন না।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং মিয়ানমারের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। ট্র্যাসি জ্যাকবসনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং জটিল পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দক্ষতার কারণে তাঁকে এই দায়িত্বে পাঠানো হচ্ছে।
জ্যাকবসনের কূটনৈতিক ক্যারিয়ার অত্যন্ত সমৃদ্ধ। তিনি তুর্কমিনিস্তান, তাজিকিস্তান এবং কসোভোয় মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া রাশিয়া, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং লাটভিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন।
২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁকে অবসর থেকে ফিরিয়ে এনে আফগানিস্তান-সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের পরিচালক করেন। পরবর্তীতে ইথিওপিয়ায় দেড় বছরের জন্য ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেন।
১৭ বছর পর আবার অন্তর্বর্তী দায়িত্ব
ঠিক ১৭ বছর আগে, ২০০৭ সালে, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ঢাকায় আসা-যাওয়ার মাঝে অনুরূপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সে সময় প্যাট্রিসিয়া বিউটেনিস ইরাকের উপরাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় গীতা পাসি ৯ মাস ধরে দায়িত্ব পালন করেন।
এই কাকতালীয় পরিস্থিতি আবারো বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট এবং কূটনৈতিক সম্পর্ককে সামনে নিয়ে এসেছে।
বিশেষ দায়িত্বে অভিজ্ঞ কূটনীতিক পাঠানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে চলমান সংকটের প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
মারিয়া