ছবি: সংগৃহীত
হোয়াটসঅ্যাপে অবাঞ্ছিত বার্তা পাঠানোয় তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের পরিষদীয় কার্যক্রমকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে তৈরি করা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বারবার হাবিজাবি মেসেজ করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। খবর আনন্দবাজার।
জানা গেছে, ২ ডিসেম্বর বিধানসভার নৌসর আলি কক্ষে দলীয় নির্দেশনা কার্যকর করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষদীয় দলের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করতে নির্দেশ দেন। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এটি চালু করেন এবং তৃণমূলের ২১৬ জন বিধায়কসহ বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করা ছয়জনকেও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গ্রুপটির লক্ষ্য ছিল দলের নির্দেশ দ্রুত পৌঁছে দেওয়া।
তবে, বিধায়করা সেখানে নিজেদের কর্মসূচি, বক্তব্য এবং প্রতিদিনের ‘গুড মর্নিং’ ও ‘গুড নাইট’ বার্তা পোস্ট করতে শুরু করেন। বিষয়টি নজরে আসার পর দলের শীর্ষনেতারা বিধায়কদের কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, এ ধরনের বার্তা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, এটি কেবল দলের নির্দেশ দেওয়া ও গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত হবে।
পরিষদীয় দলের গ্রুপটির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন অরূপ বিশ্বাস, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম।
শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, বিধায়কদের এই আচরণ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের সম্পূর্ণ বিপরীত। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শীতকালীন অধিবেশনের শুরুর সময়ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়কদের সতর্ক করে বলেছিলেন, দলীয় শৃঙ্খলা অমান্য করলে শো-কজ নোটিশ জারি হবে এবং তিনবার শো-কজ করলে বহিষ্কার করা হবে। প্রবীণ নেতারা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে চলা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখাই দলের প্রতি বিধায়কদের দায়িত্ব।
এম.কে.