ছবি: ইন্টারনেট
ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে চীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে আসছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি, শিল্পাঞ্চলের পতন এবং করোনা মহামারির জন্য চীনকে দায়ী করেছেন। সাম্প্রতিককালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সংকটের জন্য চীনকে অভিযুক্ত করেছেন, দাবি করেছেন যে চীন ফেন্টানিল ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে “হামলা” চালাচ্ছে।
ট্রাম্পের জনসভা ও সংবাদ সম্মেলনে চীনকে এমন একটি প্রতিপক্ষ হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে যাকে কেবল তিনিই পরাজিত করতে পারেন। প্রথম মেয়াদে চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় মেয়াদের প্রস্তুতিতে তার কঠোর নীতির আভাস পাওয়া যাচ্ছে, যা দুই দেশের সম্পর্ক আরও তিক্ত করে তুলতে পারে।
চীনের নেতারা ট্রাম্পকে ভয় পান না
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে চীনের নেতারা অনেক কিছু শিখেছেন। তারা মনে করেন তার অর্থনৈতিক সুরক্ষাবাদী নীতির ফলে উত্তেজনা বাড়লেও বেইজিং তা মোকাবিলা করতে সক্ষম। তাছাড়া, ট্রাম্পের মিত্রদের উপর সন্দেহ অন্যান্য দেশকে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে অনুপ্রাণিত করবে। ট্রাম্প যুদ্ধ এড়িয়ে অভ্যন্তরীণ সংস্কারে মনোযোগ দিতে চান বলে চীন তার প্রত্যাবর্তন নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন নয়।
ট্রাম্প নিয়ে চীনের নির্লিপ্ততা
বেইজিং মনে করে, ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনের ফল চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক নীতিকে পরিবর্তন করবে না। যে-ই ক্ষমতায় আসুন না কেন, চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গণ্য করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের নীতি বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতি ও তার প্রথম মেয়াদের নীতির চেয়ে ভিন্ন হতে পারে।
ভবিষ্যতের উত্তেজনা
ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ, বিনিয়োগের সীমাবদ্ধতা বৃদ্ধি এবং চীনা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমানোর মতো পদক্ষেপ নিতে পারেন। চীনও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে, যা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন-চীন সম্পর্ক আরও উত্তেজনাপূর্ণ হবে। তবে আদর্শিক সংঘাত এড়ানো সম্ভব। ট্রাম্পের বিচ্ছিন্নতাবাদী নীতি চীনের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।
নাহিদা