ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা বর্তমানে একটি মানবিক বিপর্যয়ে পরিণত হয়েছে। সেখানে বসবাসরত মানুষরা প্রতিনিয়ত খাবারের জন্য কাঁদছে এবং এক টুকরা গরম খাবার তাদের কাছে এক ধরনের কল্পনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা শনিবার এসব পরিস্থিতি তুলে ধরেন। জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রতিনিধি লুইস ওয়াটারিজ বলেন, গাজাবাসীর সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করা হচ্ছে তা পুরো বিশ্বকে দেখতে হবে। এই পরিস্থিতিতে কোনো মানুষই বাস করতে পারবে না। তিনি বলেন, এখন গাজা একটি কবরস্থানে পরিণত হয়েছে যেখানে দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষ আটকা পড়েছে। তারা আর পালিয়ে যেতে পারছে না, তাদের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের কোনো উপায় নেই। খবর আলজাজিরার।
এদিকে যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেও গাজায় হামলা জোরদার করেছে ইসরাইলি বাহিনী। উপত্যকাটিজুড়ে ইসরাইলের অব্যাহত হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গাজা সিটির উত্তরে একটি হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। ভ্যাটিকান সিটির এক বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ইসরাইল গাজায় যুদ্ধ নয় বরং নিষ্ঠুরতা চালাচ্ছে। শনিবার ভ্যাটিক্যানের বিভিন্ন বিভাগের নেতৃত্ব দেওয়া ক্যাথলিক কার্ডিনালদের সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশ নেন পোপ ফ্রান্সিস। এ সময় গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলাকে নিষ্ঠুরতা বলে অভিহিত করেন তিনি। এদিকে একজন জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি আলোচনা এরইমধ্যে ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। যদিও কিছু মূল বিষয়ে আলোচনা এখনো বাকি আছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি কর্মকর্তাদের মতে, উত্তর গাজায় ইসরাইলি অবরোধ ও আগ্রাসনের ৭৫তম দিনে গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
গাজা এখন মানবতার কবরস্থান
শীর্ষ সংবাদ: