ছবি: ইন্টারনেট
সেভেন সিস্টারসের বিশেষ করে মণিপুরের বিদ্রোহীদের হাতে রকেট লঞ্চার, স্নাইপার আর এম-৬০ ও এম-৪ এর মতো আমেরিকান অ্যাসল্ট রাইফেল। যেখানে পুরো রাজ্য জুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ সেখানে এই বিদ্রোহীরা ব্যবহার করছে ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট। আধুনিক আমেরিকান অস্ত্র ও স্যাটালাইট ইন্টারনেট কোথায় পাচ্ছে বিদ্রোহীরা তা নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা আশঙ্কা। সেভেন সিস্টারস নিয়ে খ্রিস্টান অধ্যুষিত রাষ্ট্র গড়ার যে গুন্জন ছিল সেখানে বাড়তি হাওয়া দিচ্ছে এইসব তথ্য। পূর্ব তৈমূরের মত তাহলে কি আরেকটি খ্রিষ্টান অধ্যুষিত রাষ্ট্র তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে?
মিয়ানমার-মণিপুরকে ঘিরে অশান্ত হয়ে উঠছে এশিয়ার দক্ষিণ পূর্বাংশ। খন্ড বিখন্ড হওয়ার পথে মিয়ানমার। রাখাইনে নতুন রাষ্ট্র তৈরির ঘোষণা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে ভারতের সেভেন সিস্টারসের মণিপুর রাজ্যেও অস্থিতিশীলতা ও ভাঙ্গনের সুর বিরাজ করছে। কিছুদিন আগে ভারত ভাঙার ডাক দেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লাল দোহমা।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তাল মণিপুর এর সাথে মিশছে মিয়ানমার থেকে আসা বিদ্রোহীরা। তাদের সাথে আছে রকেট লঞ্চার, স্নাইপার আর এম-৬০ ও এম-৪ এর মতো আমেরিকান অ্যাসল্ট রাইফেল এর মত অস্ত্র। মণিপুরের এমন ভাঙনের পিছনে কাজ করছে নাকি যুক্তরাষ্ট্র। একবছরের থেকে বেশি সময় ধরে উত্তাল ভারতের মণিপুর রাজ্য৷ কুকি ও মেইতদের জনজাতিদের মধ্যে চলছে সংঘর্ষ। সরকারি হিসাব মতে, মণিপুরে ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মৃত্যু হয়েছে ২৬০ জনের। বাস্তুহারা ৬০ হাজারের বেশি বাসিন্দা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রায় লাখ খানেক সেনা নামিয়েছে মোদি সরকার। নভেম্বরে ভয়াবহ সহিংসতার পর নতুন করে ১০ হাজারসহ ছোট এই রাজ্যে ৬৭ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে এতে তেমন লাভ হচ্ছে না। পরিস্থিতি বর্তমানে মোদি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে মন্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। রয়টার্সের কাছে নাম প্রকাশ না করে ভারতের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসা তো দূর, মিয়ানমার থেকে আসা বিদ্রোহীরা আসায় মণিপুরের পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে। তবে মিয়ানমার থেকে আসা বিদ্রোহীদের নির্দিষ্ট সংখ্যার তথ্য ভারত সরকারের হাতে নেই বলেও জানা যায়। বিদ্রোহীদের কাছে এসব অস্ত্র ও ইন্টারনেট কিভাবে আসছে তা ভারতজুড়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। মণিপুরের এই পরিস্থিতির পেছনে যুক্তরাস্ট্রের হাত আছে কিনা তা নিয়ে দেখা দিচ্ছে জল্পনা-কল্পনা।
গত কয়েকবছর ধরে ভারতের পূর্বাংশে খ্রিষ্টান রাষ্ট্র গঠনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।ভারতের ভাঙন, নতুন খ্রিষ্টান রাষ্ট্র গঠন ও এতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগ কতটা সঠিক তা স্পষ্ট হবে আসছে দিনগুলোতে।
নাহিদা