ছবি: সংগৃহীত
মালির কেন্দ্রীয় অঞ্চলে শুক্রবার সন্দেহভাজন জিহাদিদের হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা ছয়টি গ্রামে হামলা চালিয়ে খাদ্যশস্যের গুদাম পুড়িয়ে দিয়েছে এবং বাসিন্দারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান, “ব্যান্ডিয়াগারা অঞ্চলের ছয়টি গ্রামে হামলা চালানো হয়েছে। খাদ্যশস্যের গুদাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারা পালিয়েছে। সেখানে প্রায় ২০ জন নিহত হয়েছেন।”
মালির একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, “ব্যান্ডিয়াগারার পাঁচটি গ্রামে হামলার পর ২১ জনের মৃতদেহ এবং বহু আহত ব্যক্তিকে পাওয়া গেছে।”
স্থানীয় যুব সংগঠনের প্রতিনিধি বোকারি গুইন্ডো জানিয়েছেন, চারটি গ্রামে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও দুইটি গ্রামে আগুন লাগানো হয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদী সহিংসতার শিকার মালি
২০১২ সাল থেকে মালি আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট (আইএস) সংশ্লিষ্ট জিহাদি গোষ্ঠী, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন এবং অপরাধী গ্যাংদের হামলার শিকার হয়ে আসছে। গত সপ্তাহেও কেন্দ্রীয় মালিতে সাতজন নিহত হয়েছিল।
সেপ্টেম্বরে জিহাদিরা রাজধানী বামাকোতে পুলিশ একাডেমি এবং সামরিক বিমানবন্দরে হামলা চালায়, যা ২০১৬ সালের পর প্রথমবার রাজধানীতে বড় ধরনের হামলার ঘটনা।
বিদেশি মিত্রদের সাথে সম্পর্ক ও নতুন চ্যালেঞ্জ
২০২০ ও ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা মালির সামরিক শাসকরা ফ্রান্সের সাথে ঐতিহাসিক জোট ভেঙে রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক জোরদার করেছে। তারা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীকেও বহিষ্কার করেছে।
তবে এই নতুন জোট এবং সামরিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও জিহাদিদের বিরুদ্ধে কার্যকর অগ্রগতি অর্জিত হয়নি। মানবাধিকার সংগঠনগুলোও অভিযোগ করছে যে মালির সেনাবাহিনী এবং তাদের রুশ মিত্ররা বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে নিপীড়ন চালিয়েছে।
এই হামলাগুলো মালির সামরিক সরকারের দাবিকে চ্যালেঞ্জ করছে, যেখানে তারা বলেছিল নতুন মিত্রদের সাহায্যে জিহাদিদের বিরুদ্ধে পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে।
সূত্র: এএফপি
নাহিদা