জার্মানির ম্যাগডেবুর্গ শহরের ক্রিসমাস মার্কেটে শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি ভয়াবহ হামলা ঘটে, যার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে শোকের ছায়া নেমে আসে। হামলায় ৯ বছর বয়সী একটি শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে এবং ২০৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪১ জনের অবস্থা গুরুতর। আহতদের অনেককে অন্যান্য শহরে চিকিৎসা সেবার জন্য পাঠানো হয়েছে, এবং ম্যাগডেবুর্গের হাসপাতালগুলো রক্তদানে আহ্বান করেছে।
হামলার ঘটনা ঘটে যখন এক গাড়িচালক জনসমুদ্রের মধ্যে দিয়ে ক্রিসমাস মার্কেটে প্রায় ৪০০ মিটার গাড়ি চালিয়ে আসে এবং উপস্থিত দর্শনার্থীদের পিষে চলে। শনিবার সন্ধ্যায় হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৫০ বছর বয়সী ওই হামলাকারী সৌদি নাগরিক তালেব, যিনি ২০০৬ সালে জার্মানিতে আসেন এবং ২০১৬ সালে শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি পান। তিনি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতেন।
জার্মান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সৌদি আরব আগেই তাকে তিনবার সতর্ক করেছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি ইসলামবিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত, তবে তা সঠিক কি না, তা তদন্তের বিষয়। হামলার কারণ এখনও পরিষ্কার নয়, তবে অনেক সংবাদমাধ্যম তাকে মানসিক রোগী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এই ঘটনায় রবিবার বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে এবং জার্মানির পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। অনেক মানুষ নিহতদের স্মরণে ফুল দেয় এবং মোমবাতি হাতে ক্যাথেড্রালে একত্রিত হয়। কিছু মানুষ, যারা মুখোশ পরিধান করেছিল, অভিবাসীবিরোধী স্লোগানও দেন।
এ হামলা জার্মানির আসন্ন ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচনে দক্ষিণপন্থী অভিবাসীবিরোধী দল অলটারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ডের প্রচারণাকে আরও জোরালো করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
ম্যাগডেবুর্গের মেয়র সিমোন বোরিস হামলার পর শহরের সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে একতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন এবং ভুক্তভোগী পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন।
রাসেল