অ্যাডলফ হিটলার
প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পর পুরো পৃথিবী যখন টালমাটাল তখন অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্ব থেকে বাঁচানো সহ জার্মানিকে পুরো পৃথিবীতে বড় করার প্রতিশ্রুতি সহ তিন দফা পেশ করেন এডলফ হিটলার। যা জার্মানির মানুষের মনঃ পূত হওয়ায় জার্মানির ইতিহাসে প্রতিটি বাড়ী থেকে ভোট পেয়ে চ্যান্সেলর নির্বাচিত হন এডলফ হিটলার।
এরপর অ্যাডলফ হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১৯৪৫) সময় তার নাৎসি বাহিনীর (তৎকালীন নাৎসী পার্টি) মাধ্যমে একের পর এক দেশ দখল করেন। হিটলারের এই আগ্রাসন ছিল তার সামরিক কৌশল এবং "লেবেনসরাউম" (জীবনধারণের স্থান) নীতির ফল।যদিও তার শুরুটা খুব সহজ সরল স্বাভাবিক ভাবে।
ইতিহাস বলে (১৯৩৮) আনশ্লুস পরিকল্পনার মাধ্যমে সর্বপ্রথম পার্শ্ববর্তী দেশ অষ্ট্রিয়াকে কোনও রক্তপাত ছাড়াই, অস্ট্রিয়ার সরকারকে চাপ দিয়ে অস্ট্রিয়াকে জার্মানির সঙ্গে একীভূত করেন। যা তার বিশদ পরীকল্পনার প্রথম সফলতা।
উল্লেখ্য সেই সময় হিটলারের এমন কর্মকান্ড দিশেহারা হয়ে যান পৃথিবীর অন্যান্য পরাশক্তি। এভাবে জার্মানির অন্য দেশ দখল তাদের ঘুম কেড়ে নেয়।যার ফলশ্রুতিতে মিউনিখ চুক্তির মাধ্যমে হিটলারকে থামতে বলা হয় যে কোন বিনিময়ের মাধ্যমে।
বিনিময় হিসেবে হিটলার বলেন, চেকোস্লোভাকিয়া আমাকে দিয়ে দিলে আমি যুদ্ধ থামিয়ে দিবো। যেমন কথা ততেমন কাজ চুক্তির মাধ্যমে ১৯৩৯ সালে চেকোস্লোভাকিয়ার কিছু অংশ দেওয়া হলেও পরে পুরো অঞ্চল দখল করেন।
ঠিক সেই সময় ইতালিতে বেনিটে মুসোলনি শাসন করছিলেন তিনিও ফ্যাসিবাদে বিশ্বাসী এবং ইতিলাকে বড় করার এবং পৃথিবী জুড়ে প্রভাব বিস্তার করার স্বপ্ন দেখছিলেন।
এভাবে একের পর এক দেশ দখল করতে থাকা হিটলার পরবর্তীতে পোল্যান্ড (১৯৩৯)ডেনমার্ক এবং নরওয়ে (১৯৪০)বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, এবং লুক্সেমবার্গ (১৯৪০)ফ্রান্স (১৯৪০)বালকান অঞ্চল (১৯৪১) সালে দখল করেন বিভিন্ন অপারেশনের মাধ্যমে।
তবে ডেনমার্ক অভিযান পরিচালনা করার পর মার্কিন ইউনাইটেড কিংডম এবং ফ্রান্স একভূত হয়ে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তােলে। সেই প্রতরোধে হিটলারের সাথে মিত্র বাহিনী হিসেবে যোগ দেয় বেনিটো মুসোলিনির বাহিনীকে সাথে নিয়ে অপারেশন বার্বারোসা" পরিচালনা করলেও ব্যার্থ হন এডলফ হিটলার।
পতনের ঠিক আগ মুহুর্তে ৩০ এপ্রিল সকালে এভা ব্রাউনকে বিয়ে করেন এডলফ হিটলার, তারপর নিজের কক্ষে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে আত্নহত্যা করেন। যদিও এই বিষয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে।
ইসরাত