ছবি: সংগৃহীত
কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্ট আর্মি থেকে আরাকান সেনা পর্যন্ত একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী মায়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে রেখেছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, জুন্টা সরকারের পতন এখন সময়ের অপেক্ষা।
সীমান্তবর্তী এলাকায় আরাকান আর্মির দখল বাংলাদেশের জন্যও আশঙ্কার কারণ। এমনকি সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দিকে বিদ্রোহীদের নজর নিয়ে শঙ্কিত।
জুন্টা সরকারের ক্রমাগত দুর্বল অবস্থান ভারত ও চীনকেও চিন্তায় ফেলেছে। ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পের আওতায় চীনের বিনিয়োগ বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একইভাবে, ভারতের কৌশলগত প্রকল্প কালাদান মাল্টিমোডাল করিডর বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, যদি বিদ্রোহীরা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়, তাহলে মায়ানমারের পরিণতি সিরিয়ার মতো হতে পারে। দেশটি একাধিক অংশে বিভক্ত হয়ে যেতে পারে, যা প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোতে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
মিয়ানমারের সংকট নিয়ে দেশটির প্রতিবেশী বিশেষ করে সীমান্তঘেঁষা দেশগুলোর প্রতিনিধিরা থাইল্যান্ডে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। ভারত, চীনসহ ছয় দেশের এই বৈঠকে থাকছে বাংলাদেশও। ব্যাংককে বৃহস্পতি ও শুক্রবার পরপর দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
নাহিদা