ইয়েমেনের বন্দর ও জ্বালানি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এর আগে ইয়েমেন থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। যদিও সেটি ভূপাতিত করার দাবি করছে তেলআবিব। ইয়েমেনে হামলার পর হুতি নেতাদেরও সতর্ক করা হয়েছে। হুতিদের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলায় অন্তত নয়জন নিহত হয়েছেন এবং বিদ্যুৎকেন্দ্র, তেল স্থাপনার পাশাপাশি হোদাইদাহ বন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি বর্বর হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার ১০০ জনে পৌঁছেছে। খবর আলজাজিরার।
ইসরাইলকে লক্ষ্য করে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরই এই পাল্টা হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। মূলত গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই নিয়মিত বিরতিতে পাল্টাপাল্টি হামলা চালাচ্ছে উভয় পক্ষ। ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেনে হুতিদের স্থাপনায় সুনির্দিষ্ট হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সানায় বন্দর ও জ্বালানি অবকাঠামো। হুতি নেতাদের সতর্ক করে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তাদের পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার কামাল আদোয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার হুসাম আবু সাফিয়া বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর স্নাইপাররা তার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রোগী এবং ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউর স্টাফদের ওপর গুলি চালিয়েছে। তিনি জানান, ইসরাইলি স্নাইপাররা গত সোমবার প্রথমবারের মতো আইসিইউ স্টাফদের ওপর গুলি চালায়। হাসপাতালের সব জানালায় গুলি লেগেছে বলে তিনি জানান। ডাক্তার হুসাম জানান, হাসপাতালের পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং এই হাসপাতাল সবার জন্য কবরস্থানে পরিণত হবে। ইসরাইলি স্নাইপারদের গুলির সময় হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে থাকা সবাই ঝুঁকির মুখে ছিল এবং রোগী ও স্টাফদের জন্য মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
ইয়েমেনের বন্দর ও জ্বালানি স্থাপনায় ইসরাইলি হামলা
শীর্ষ সংবাদ: