চীন নিজেদের পরমাণু শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক চাপ বৃদ্ধি ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে। মার্কিন গোয়েন্দা দপ্তরের প্রধান কার্যালয় পেন্টাগন থেকে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে। বেজিংয়ের এসব কার্যক্রম ওয়াশিংটনের সঙ্গে সংঘাত বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে বলে প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়। খবর এপির। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত বিভিন্ন রকমের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে চীন। চলতি বছর মে মাস পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে চীনের কাছে ৬০০টির বেশি কার্যকরী পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সংখ্যাটি এক হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে মার্কিন প্রশাসন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, বেজিং এখন আরও বেশি সংখ্যক ও ভিন্ন ধরনের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সক্ষমতা অর্জন করছে। ফলে একাধিক হামলা চালানোর বিকল্প বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনাও বৃদ্ধি হয়েছে। চীনকে তার পারমাণবিক কার্যক্রম সম্পর্কে আরও স্বচ্ছ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, মিত্রদের সুরক্ষা দিতে ও উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে ওয়াশিংটন প্রস্তুত।